হৃদয়ের পুকুর পারেতে বসিয়া
উদাস হইয়া ভাবি,
ঘরের বাহিরে রয়েছি দাঁড়ায়ে
হারায়ে ঘরের চাবি।


গাঁয়ের বঁধুরা ঘাটেতে চলিছে
গাগরী ভরিবার তরে,
অজানা কথাগুলি লুকায়ে মনেতে
আঁচল পাতিয়া ভরে।


দখিন পাড়ার ছেলেরা নামিল
জলেতে করিবে সিনান,
গঙ্গাফড়িং চাহিয়া রহিল
কবে যে হয়েছে বিরান।


সারাদিন ধরি মাতিয়া রহিছে
ধানের ক্ষেতেতে চাষী,
সোনারঙ দেখে হৃদয় ভরিছে
মুখেতে ঝরিছে হাসি।


চৈত্রের রোদে অশথের ছায়ে
রাখাল গাহিছে সুরে,
ক্লিষ্ট প্রাণেতে প্রশান্তি লয়ে
কে যেন  ডাকিছে দূরে।


এমনি ক্ষণেতে নিজেরে হারায়ে
দু’হাত বাড়ায়ে থাকি,
সাড়াটি দেবার আছেকি কেহ
পলকে চাহিয়া থাকি।


(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)