গতকাল ভোরে, সূর্যটা হঠাৎ করে হেসে উঠেছিলো।
রাত্তিরে ছিলো চন্দ্রগ্রহণ, তাই চাঁদটাকে ভালো দেখা যায়নি,
বসুধা তার গোটাটাই গিলে ফেলেছিলো, কিছুক্ষণের তরে।


শরতের সকালে, ঠিকই অন্য দিনের মতো করে
শিশিরে ভিজে গিয়েছিলো, ঘাসফুল গুলো-
কোন সাত সকালে, শিউলি ফুলের তলাতে
ঝরেছিলো বেশ কিছু ফোটা ফুল,
তাঁদের গায়ে শিশির উবে যাবার আগেই
কুড়িয়ে নিয়ে গেছিলো, মালিনীর মেয়েটা আঁচলখানি ভরে।


কালো গোলাপটা, অভিমান করে ফোটেনিকো সেদিন
ফুটপাতে শোয়া বানভাসিরাও কেন জানি,
একটু দেরি করে উঠেছিলো-
ছোট্ট পাখিটা শিষ দিয়ে ডেকেছিলো,
তার মাকে, ডানার নিচে একটু নড়াচড়া করে।
আধো জাগা, আধো ঘুমে, মাঝিপাড়ায় বোল উঠলো,
“সাগরে যাবি না?”


তবে, আমি নিশ্চিত করে কইতে পারি,
সূর্যটাও হেসেছিলো, কেন জানি হঠাৎ করে, কার তরে।


(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)