কষ্টেরা নষ্ট হতে বলে বারবার।
তবুও আমি কষ্টকেই বলি বন্ধু,
চোখের জলে যখন বুক ভাসে-
সময়ের সকল প্রতিকূল স্রোতে।
তখন অন্ধকারকে ডেকে নিই একান্তে,
অন্ধকার আমার প্রিয়!
যখন দিনের সমস্ত ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ে গোধূলি বিকেল।
যখন হিমেল হাওয়ায় একরাশ স্নিগ্ধ প্রশান্তি এসে আন্দোলিত করে।
প্রতিকূল মুহূর্তের কাছে নিজেকে খুঁজে নিই একান্ত গোপনে।
স্বর্ণ শোভিত নারীর কোমল অঙ্গ যেমন অলংকৃত করে অপরূপ রূপে!
ঠিক প্রতিকূল মুহূর্ত শাণিত করে,
আন্দোলিত করে বারবার।
যদিও অন্ধকার আমার প্রিয়!
খুঁজে ফিরি দুঃখগাঁথার মাঝে হৃত সুখ!
বনের সমস্ত পাখি,সাগরের তিমিরা ছুটে চলে।
দিগন্ত ছেড়ে এক অনাগত মহাকালের গর্ভে!
তখন নিত্য ছুটে চলার মাঝে খুঁজে পাই-
জীবনের অনন্ত আঁধার।
মেঘকন্যারা পাহাড় জুড়ে খেলা করে
নিত্য আঁকে জলরঙ,মধুর আল্পনা।
স্বপ্ন খেলা করে দু-চোখ ভরে
এ খেলা আলো আঁধারের সাপলুডুর খেলা
এ খেলা হেলায় হারিয়ে অবেলায় খোঁজে ফেরা জীবন তরী।
তবুও অন্ধকার আজন্ম বন্ধু আমার!
অন্ধকার তুমিই তো আমার সমস্ত প্রেরণার উৎস!
আঁধারের রাত্রিতে জেগে উঠা নতুন সূর্য আমার প্রিয়।
যদিও অন্ধকারের মাঝেই লুকিয়ে থাকে আলো
দূর্জন আমার প্রিয়!
নিন্দুক আমার প্রিয়!
দিনশেষে নষ্ট মনের কষ্ট ফেরি করি।
তবুও এই কষ্টই আমার অনন্ত আঁধার,আজন্ম বন্ধু!