এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের
তেষট্টি হাজার গ্রাম,
সুজলা,সুফলা,শস্য-শ্যামলা
অবারিত সবুজ মৃত্তিকার শুভ জন্মদিন আজ!
শতেরো সাতান্ন থেকে উনিশশো একাত্তর!
কি দীর্ঘ জঠর যন্ত্রণার নির্মল প্রসব।
তিরিশ লক্ষ অথবা অগণিত শহীদের রক্তে রচিত
প্রিয় স্বদেশ আমার।
পিতার আর্তনাদ,মায়ের-বোনের সম্ভ্রম কি নিষ্ঠুর
উল্লাসে ওরা স্বজাতির বুকে ষ্টীমরোলারে পিষ্ট করেছে।
কতো সহজেই না আজ আমরা বলে দিই
নয় মাস,তিরিশ লক্ষ!রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
আমরা দেশ পেয়েছি,স্বাধীন হয়েছি,
ধার্মিক হয়েছি,মানুষ হতে পেরেছি কি?
রবীন্দ্রনাথের মতো দীপ্ত পায়ে হেঁটে
যে কবি শুনিয়েছেন
অমোঘ কবিতার অবিনাশী পঙতি!
আমরা কি দিয়েছি তাঁর প্রাপ্য স্থান?
যে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি
কতোটুকু দিয়েছি সম্মান?
আমরা বড়ই কৃপণ।
ধার্মিক হয়েছি বটে,মানুষ হতে বহুদূর।
যদিও স্বপ্নছাড়া ব্যক্তি ডানাহীন পাখি,
স্বপ্ন দেখি এই বদ্বীপ হবে বাঙালি ও মানুষের।
বীরেরা ভিখ মাগে দ্বারে দ্বারে,সম্মানিত অনাদরে
সুযোগসন্ধানী কাপুরুষেরাই আজ নষ্ট চেতনার বাহক!
ক্ষমা করো হে আহত জননী!
বেদনাবেদনাবিধুর চিত্তে তুমি অভিশাপ দাও, আমরা অঙ্গার হয়ে আবার সুদ্ধ হই!
ওরা গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতে চায়
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখাতে চায়,
আমরা ঘুম ভেঙে স্বপ্ন দেখতে চাই।
হে আহত জননী,আমরা তোমার নাবালক
অথচ ইতর-ভদ্র,কদাচিৎ নিষ্পাপ।
আমাদের মার্জনা করো,
আমাদের মানুষ রূপে আবার প্রসব করো!


২৫/০৩/২০১৯।