একদা প্রশান্তিকে বলেছিলাম
প্রশান্তি আমায় ছুটি দাও।
প্রতিউত্তরে প্রশান্তি বলেছিল ছুটি? সে বহুদূর!
তাই তো নিত্য ছুটির গান গাই।
শতকাল কেটে,শত বসন্ত শেষে!
মুক্তির অবারিত প্রান্তে এসে দেখি
জীবন খেয়ার নাবিক এখনো দূর অন্ধকারে।
একদা ক্লান্তিকে বলেছিলাম,
ক্লান্তি এবার মুক্তি দাও।
ক্লান্তিও বলেছিল সে শ্রান্তি চায়!
তাই বেদনার শত যন্ত্রণা সয়ে-
শত সহস্র বছর করেছি পার।
এতকাল যাকে নিরবে সয়েছি
রিক্তের বেদন হয়নি ছিন্ন,
সেও আজ ক্লান্তির ভারে নিমগ্নপ্রায়।
তাই আকাশকে বলেছিলাম-
এবার তোমার রঙ পাল্টাও!
আকাশ তাই হেসে কুটিকুটি।
শত রঙের অঝোর ঝলকানি শেষে-
শত হুঁকার ছেড়ে,বর্ষণে প্লাবিত করে জনপদ।
বাধ্য হয়ে ঈশ্বরকে বললাম-
হে ঈশ্বর এবার তোমার ঘণ্টা বাজাও।
আর বেরসিক ঈশ্বর কিনা সাঁজাল যন্ত্রণার অমোঘ নিয়তির করুণ জীবনের দারুণ এক আলেখ্য!
২৩/০২/২০১৮