কৈশোরে দুরন্তপনা চিরসবুজ মাঠ ভুলেছি
মিছিলে যাবো বলে।
উদ্যাম যৌবন সময়ের বাধা ডিঙিয়ে হেঁটেছি অবিরল
পৃথিবীর সুন্দরতম মুহূর্ত প্রেয়সীর হাসি ভুলেছি
মিছিলে যাবো বলে।
মায়ের কাছে মিথ্যে বলেছি বারংবার,
উপেক্ষা করেছি স্বজনের সান্নিধ্য
বন্ধুত্বের আবদার।
কৃষকের সন্তানসম ফসলের ন্যায্য মূল্য চাই!
মিছিলে সমবেত কণ্ঠের আহবান কি শুনেছে শাসক?
মিছিল চলেছে মিছিলের মতো।
শ্লোগান দিয়েছি শত,
ফিরেছে কি সুদিন আমাদের?
বইখাতা,প্রিয় ক্লাসরুম,
প্রিয়তমার চোখকে ফাঁকি দিয়েছি
মিছিলে যাবো বলে।
বিনিময়ে চেয়েছি শ্রমের অধিকার,
আমরা কি পেয়েছি আমাদের কাঙ্খিত প্রিয় স্বদেশ?
লড়াই তো অনেক হলো,যুদ্ধও শেষ।
তবে এখনো কেন অন্যায্য আর অনাচার?
এখনো প্রেসক্লাবে কেন মিছিল হয়?
এখনো কেন বিবৃতি আর প্রতিশ্রুতির খই ফুটে?
কেন শিশুর কমল চোখে ভয়ার্ত আর্তনাদ?
জবাব দাও প্রিয় বাংলাদেশ!
একটি মিছিল হবে ব্যানার,ফেস্টুন,মাইক কতো কি!
ঘুম নেই সারারাত,
মিছিল হল,পুলিশের বাড়ি লাত্থিও জুটলো।
আমার কারখানার শ্রমিক
ক্ষেতের কারিগর
সভ্যতার দাস কি পেলো?
কতো মিছিল,শত সমাবেশ সব হল!
জবাব দাও প্রিয় বাংলাদেশ
ভূমিহীন কি ফিরে পেল তার বাস্তভিটা?
পিতা কি ফিরে পেল হারানো সন্তান?
বোন কি পেল তার লুণ্ঠিত সমভ্রম?
জবাব কি দিবে প্রিয় স্বদেশ?
কতো রক্তের খেলা হল
কতো শহীদ হল
কতো তামাসায় পূর্ণ হল আমাদের যাপিত জীবন।
তিরিশ লক্ষ শহীদের কসম!
আরেকটি যুদ্ধ হক!
এ যুদ্ধ শাসিত বনাম শোষিতের
এ যুদ্ধ শৃঙ্খলের বিপরীত মুক্তির,
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শোষিতের হারানোর কিছু নেই।