একুশ তুমি এসেছ বলে ।
আজ শিমুলের ডালে ফুটবে যে ফুল,
পলাশ ছড়াবে যে সৌরভ ।
হাট মাঠ বন্দরে উচ্চারিত হবে যে ভাষা ,
বসন্তের আকাশে উড়বে যে পাখি গাইবে যে গান ।
নাচবে শিশু সখি বলবে শত কথা,
একুশ তুমি এসেছ বলে ।
প্রাণের  শিড়ায় শিড়ায় পলকে জাগে ঝলক,
শ্রদ্ধায় মাথা হয়ে আসে নত।
ফুলে ফুলে ফুলেল শহীদ বেদী ,
আমাকে স্মরণ করে দেয় আমার জাতিশক্তা!
বিশ্বশক্তার শিকড়ে আজ জেগে উঠবে বাংলা ,
প্রহরে প্রাণচাঞ্চল্যে  মেতে উঠবে –
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,বৃদ্ধ,যুবা।
শহীদ মিনারে অগণিত ফুলের ফুলেল শ্রদ্ধায়,
জাতি স্মরণ করবে তার বীর সন্তানদের।
রাজপথের দেয়াল হেসে উঠবে বর্ণিল আল্পনায়,
অদ্যপ্রত্যূষে ভূমিষ্ঠ হবে যে শিশু সে হবে মহাভাগ্যবান!
কেননা আজ তো সেই দিন
রক্তে রাঙা রাজপথে ফুলের রক্তে শোধ হবে ঋণ,
ভয়কে তুচ্ছ করে ভাষার দাবীতে দিয়েছিলো প্রাণ।
বিজয়েনি মায়ের সাহসী সন্তান,
নিকষ কালো দীঘল রজনী শেষে-
ভোরের কুয়াশা চিড়ে পূবের আকাশে উকি দিবে যে সূর্য ।
সে তো আমারি ভাইয়ের রক্তখুনে রক্তিম নীলাভ সূর্য,
ফাল্গুনের রক্তরঙে এ যেন পলাশ প্রতীক!
শহীদ মিনারে হাজারো ফুলেরা পাপড়ি মেলে রবে।
একুশ আবার আসবে ফিরে,
ছেলে হারা মায়ের কাছে ভাই হারা ভাইয়ের কাছে ।
বাঙালির বাংলার কাছে,
একুশ আবার আসবে ফিরে।
স্বদেশ প্রেম জাতীয়তাবোধ কাকে বলে শেখাতে,
একুশ ততদিন রবে।
জতদিন রবে সমস্ত সৌরমণ্ডল মহাকাশ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড!
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে,
একুশ আবার আসবে ফিরে।
সাংবাদিকের কলমে কবির ডায়রিতে,
ভাষার তরে রক্ত দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে এক মাত্র বাঙ্গালির বাংলাতে!