জীবনের গাড়িতে বহুদূরের পথে আজও চলেছি
রাত নেই দিন নেই চলছি তো চলছিই
অচেনা জংশনের প্লাটফর্মে অনেক যাত্রী দেখেছি
এখনো বুঝি ঢের বাকি
কতো হাঁক ডাক ছেড়ে হুইসেল বাজিয়ে একে বেকে চলেছি
গ্রাম থেকে শহর বন্দর
সবুজে বিছানো মাঠের পর মাঠ অবিরাম ছুটে চলা
তবুও যাত্রী পেলাম না
যাত্রী শূন্যতায় অবশ্য থেমে থাকিনি
ঘন বর্ষার টুঁইটুঁম্বুর নদীর পাশঘেঁষে
আউশের ভরা মৌসুমে
অথবা রৌদ্রস্নাত কোন এক বিকেলে
অপেক্ষারত যাত্রীর প্রত্যাশায়
এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে বিরামহীন ছুটে চলা
তবুও ক্লান্ত অবস্রান্ত মনে বলিনি ক্ষণিকের ছুটি দাও
রাত নিশি তবুও ঘুম নেই বিছানার এপাশ ওপাশ চঞ্চল অধীর
চিন্তার রাজ্যত্বে চাবুক শাসিয়ে অবশেষে প্রহর এলো
জোনাকিরা ক্লান্ত,ক্লান্ত রাত জাগা পাখি
বেঁচে থাকার ক্রমাগত রসদ যুগিয়ে শ্বাসনালীও বার্ধক্যে
পার্টসগুলো ক্ষয়ে যাবার প্রতীক্ষায় দিন গুনছে
ইঞ্জিন স্টার্ট করে আবার ছুটে চলা অজানা গন্তব্যে
সেই যাত্রীর প্রতীক্ষায়
হৃদয়ের অন্তঃকরণে বয়ে চলা এক টুকরো
হৃদপিণ্ডই তো আমার সান্ত্বনার যাত্রীঃ=ঃ০১/০৮/২০১৫