কে সে মঞ্জুকেশী অপলক নয়নে
অনাবৃত সোনার অঙ্গে
পৌষের হিমশীতল সোনামাখা কাচা রৌদ্রে
লাউ পুঁইশাকের মাচা মাড়িয়ে
এলোমেলো সবুজ মেঠোল পথে
কে তুমি উর্বশী
মৌনতার রহস্য ছড়িয়ে
দিগন্তের মলিন পথে যাচ্ছ চলে
দাড়াও দাড়াও দেখো আমার দুচোখ
সবুজ মাঠ নেই পৌষের শিশির নেই
বালুচরের শুভ্র কাশফুল নেই
মেঘের দল নেই নেই নদীর অথৈ চিকচিক জলরাশি
অস্ফুটিত মুখে অবাক নিবিষ্ট আঁখি পল্লবে
তোমার প্রতিচ্ছবি অবচেতন মনে
নিষিক্ত ডিম্বাণু কামনা প্রবাহের ধারায়
মেরুমজ্জার নিরেট আন্তকঙ্কালে কি সুতীব্র উন্মাতাল
বসন্তের জাগরিত ঢেউয়ের টলমল
তুমি কি দেখতে পাওনা মালতী
পিছন ফিরে দেখার সময় নেই মালতী
চলো আন্দোলিত হিল্লোল মনে
নিষিদ্ধ পল্লী ছাড়িয়ে কোন এক কাজল বনে
হাসবো গাইবো খেলবো যখন যা খুশি তাই
ভালোবাসার সৌরভে সাজানো বাগান বানাবো
নদীর পাড়ে শানবাঁধানো ঘাট দিবো
পরে থাকা আগাছায় নতুন করে বীজ রূপিত হবে
একদিন আমি তুমি থেকে আমরা হবো
প্রেমের মায়ায় সব ছেড়ে দিতে পারি
নতুন করে সব হ্যাঁ সব কিছু গড়তে পারি
একদিন আমাদের শিশুরা স্বর্ণময় রাজ্যে বড় হবে
ওখানে মানবিকতার চাষ হবে
খুধা তাড়না অতীত বা মহাকাল হবে
রাতের অন্ধকার কেটে উদিত হবে নতুন সূর্যের নতুন সকাল
দেখো মালতী আমাদের মিলনের অপেক্ষায় মহাকাল
০৮/০৮/২০১৫
কুড়িল বিশ্বরোড