ভাবছি একটি চিঠি লিখব
লিখি লিখি বলে লেখা হয়ে উঠেনি কখনো
এ আমার প্রথম চিঠি-
মৌনতার আবীরে ভালোবাসার উষ্ণ আবেশ!
জানো, ভাষা বিড়ম্বনায় পড়েছি বেশ।
শব্দের গাঁথুনি,উপমা,পরিভাষায় পারদর্শী নই আমি।
কল্পনার ডুব সাঁতারে ভাষার নির্জলা ছবি আঁকি,
স্বীকার করছি ভালোবাসায় নবীন তবে প্রেমিক নয়!
বহু দিনের সুপ্ত বাসনা তুমি,
সত্যি বলতে দ্বিধার জালে পড়েছি
কতকাল দেখি না
মা বলেছে তুমি এখন অনেক বড়
আচ্ছা কত বড় তুমি?
কি বলবো ষোড়শী নাকি উর্বশী
কালো সাদার ধার ধারি না
লম্বা না বেঁটে
তাও খুঁজি না
ভাবছি তোমার লাজুক মুখ
এখনো কি লজ্জায় লাল হয়
টসটসে গাল বেয়ে কাজল গড়িয়ে পরে কি
দেখতে কেমন? উপমাই কি দিবো
চাঁদেরও নাকি কলঙ্ক আছে
কল্পনার রঙ মাখতে চাই না
জানি না সুবলকে আজ চিনবে কি না
হ্যাঁ আমি সুবল সেই খেলার সাথি সুবল
মিছে মিছে পুতুল বিয়ে
সুপারির ডগায় চড়িয়ে চলে যেতাম বহু দূরে
তুমি তখন ভয়ে কাঁদতে
মায়াবী হরিণ চোখ
গোলাপি দুটি ঠোঁট
সেকি অঝর কান্না
পাড়ার লোকেরা হেসে বলত দেখ দেখ পরীর কান্না দেখ
ঠিক যেন আকাশ থেকে নেমে আসা পরী
মাকে বলে দিবে বলে ভেলায় চড়িয়ে চলে যেতাম বিলে
লাল সাদা শাপলা নিয়ে দু’জন বাড়ি  ফিরতাম
এ বাড়ি ও বাড়ি সারা গ্রাম মাতিয়ে রাখতাম
কখনো হাসি কখনো আবার কান্না
বাড়ির সবাই নাকি ব্যস্ত ছিল আমাদের নিয়ে
আমাদের দুটি নাম ছিল  পাগল আর পাগলি
জানি চিঠি পড়ে লজ্জায় হবে মলিন
ভাবতে পার আমি এখনো পাগল
হ্যাঁ পাগল!  অদেখা রূপের পাগল
চিঠির উত্তর পাব কি না জানি না
জানি না আদৌ চিঠি হয়ে উঠেছে কি না
চিঠিটা হতে পারতো আরও প্রাঞ্জল
অথবা আরও নস্টালজিক
এ আমার অনভিজ্ঞতা
প্রিয়তমা অভিমান করো না
যদি একান্তই আমার না হও
তবে জেনে রেখো
রাতের তারায় খুঁজে নিবো
সাগরের জল ঝর্না ধারা আমার প্রেম হবে
নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি, দলছুট হরিণ আমার প্রেম হবে
পাহারে লেগে থাকা মেঘ দল আমার প্রেম হবে
ভালোবাসার সুতীব্র বাসনাই আমার প্রেম..


সমাপ্ত
২৭/০৯/২০১৫
ঢাকা