রাজা গবুচন্দ্র অবশেষে কহিলেন, হবুচন্দ্রকে
ব্যাটা নচ্ছাড় কোথাকার!
জুতা দিয়ে কী ধুলার সমাধান হইবে?
এখানে যাহারা কাজ করে তাহাদেরকে ধুলাচাপা দে ব্যাটা।
এরা তো মানুষই না!
এরা না সব গাধার দল!
এরাকে ধুলা খাওয়াবি, মুখেচোখে ধুলা মাখিয়ে দিবি!
যদি না পারিস তো ফায়ারের পানি দিয়ে কাদা বানিয়ে ফেল!
কাদায় কাদা করে দে!  
এরা তো কেউ মানুষ না, গাধা।
ভাতের সাথে ধুলা কাদা যা দিবি
সমানে তাই গিলিবে।
অবশেষে গাধারা ভগবানের আশায় রহিল
প্রত্যাশায় থাকলো, মাসের পর মাস
বৃষ্টি আসিবে, বৃষ্টি আসিবে
যাইবে সব ধুলা
ঝড় হইল, আসিলো না এক ফোঁটা বৃষ্টিজল
ভগবান তো ঝুলিয়েছেন
গাধার মুখের সামনে মস্তবড় এক মুলা!


হ্যাঁ, বৃষ্টি একদিন আসিবেই
ধুলা হইবে কাদা
ড্রেন হইবে কাদায় ভর্তি
তাকাইয়া দেখিবে শুধু গাধার দল
খুলিবে কাহারো কাহারো আবার প্রসন্ন কপাল
গাধার দল তাকাইয়াই রহিবে
আর মারিবে কপালে বাড়ি
নিজের সাথে পাগলের প্রলাপ বকিবে খালি
এতদিন করিলাম কি, এতদিন করিলাম কি, ওহে দাদা! ওহে দাদা!


হবুচন্দ্র, রাজা গবুচন্দ্র কে কহিলেন -
চিন্তা কি রাজা মহাশয়
ধুলায় ধুলায় জর্জরিত হয়ে,
গাধারা সব আক্রান্ত হইয়াছে আ্যজমায়।


চিন্তা কি! চিন্তা আর কিসে
গাধারা সব হাঁপানীতে মরিয়া
যাইবে ধুলাতেই মিশে!


গবুচন্দ্র মোচ পাকাইয়া বলে
ধন্যবাদ, হবুচন্দ্র গিয়াছিলাম তো
গাধাদের চিন্তায় হাঁপাইয়া
যাক অবশেষে বৈষম্যরাজ ভগবান
বৃষ্টির বদলে দিয়াছেন ঝড়
গাধাদের চোখমুখ ছাপাইয়া!


#বেনাপোল
০৬/০৪/২০১৮