বরষা , তোমার অপেক্ষায়
অষ্টপ্রহর কেটে গেল
তুমি ঝরো ! কৃষকের পরমায়ু হয়ে ,
শ্রমিকের গায়ের ঘাম মুছে দিতে ।
চটুল কিশোরীর আনন্দ হয়ে তুমি নেমে এসো -
তোমার অপেক্ষায় জমিন হয়েছে চৌচির ।
তবু তুমি কেন এতটাই ধীর !
অতীতের সব জঞ্জাল ও গ্লানি ধুয়ে দিতে-
আকাশ ভেঙে নেমে এসো ।
তোমাতে অবগাহন করবে বলে কিশোর - কিশোরী হয়ে আছে অধীর ।
দেখা দাও , চালফুটো ঘরে
কমনীয়তায় -
তীব্র ও তীক্ষ্ণতার রূপ বদলে
বন্ধুর বেশে ঝরো তুমি ।
নিরন্ন বস্তিবাসীর সুখের প্রভাবক হয়ে-
পথের মাঝে ক্লান্ত ভ্যানচালকের শরীরের সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে দিতে
তুমি নেমে এসো ।
অস্বাভাবিক মৃত্যুহীন প্রতিজ্ঞায় তুমি চৌচির জমিনে ঝরো -
আমরা যে স্বাভাবিক মৃত্যুরও অধিকার হারিয়েছি !
তোমাকে ছুঁয়ে দেখবে বলে
অষ্টাদশী প্রিয়ার নির্জন হাত অপেক্ষমান -
শ্রমিকের ভূমিকায় দিনরাত পরিশ্রম করা মা - বোনের কষ্ট লাঘব করতে নেমে এসো ।
তোমার অপেক্ষায় সবাই অধীর -
তবু তুমি কেন এতটা ধীর ?
তুমি ঝরো , হৃদয়ে হৃদয়ে
চপল চঞ্চলতায় বিদীর্ণ দশা ঘুচায়ে ।
নেমে এসো তুমি ,
ঝরো ! অবিরাম ধারায়
মুছে ও ধুয়ে দিতে
অসংকোচ প্রকাশের সংকীর্ণতা ও অসুরের ভয় ।


বেনাপোল
২১/০৫/২০১