মাথা হেঁট করে এক বোবা বালিকা কুঁকড়ে বসে ছিল
নারীত্ব, যৌবন, গোপনত্ব সব খুটে খেয়ে ফেলেছে
লজ্জায় আবৃত থাকা উরু,ঠোঁট, স্তন
সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে  বেমালুম আপত্তি ছাড়াই ।


দিনে যে নারীর ছায়া মাড়ানোও পাপ
রাতের আধারে একচালা ঘরের পাশে ঘুরো ঘুরি চলে
পুঁজোয় মনযোগী হওয়া হয়ে ওঠেনী কখনোই
স্বামীকে তার কখনোও আর মনে পড়েনি
ঈশ্বর যেন তার অপক্ক শরীরে দীর্ঘ যৌবন সেঁটে দিয়েছে
নাভী রন্ধ্রে লুকিয়ে রেখেছে আলিঙ্গনের অদৃশ্য প্রতিমা
ওর  নগ্ন আলিঙ্গনে বাধা পড়েছে দেব তুল্য পুরুষও
দরিদ্র হওয়াটা ওর একেবারে বিফলে যায় নি
অপবাদ, লজ্জা ভুলে যেখানে শত শত  যুবক , পুরুষ
স্বরস্বতী স্ত্রী ফেলে তাকে ভালবাসা দিতে আসে
বেঁচে থাকাটা তার জন্য বিন্দু মাত্র নিরর্থক নই।
যে হাত  তাকে সমস্ত  রাত পাগলের মত  খুঁজে
ওর গর্ভে জন্মাতে চাই নতুন কোন দেবতা
বুকে চেপে ধরুক আমায় সমস্ত শক্তি দিয়ে
কথা দিলাম -  কোন দিনও চিত্কার দেব না
অভাবগ্রস্ত ওই ডোমিনীর কোলে কেউ সন্তান দিতে পারে নি
পুরুষত্বহীন সমাজের কাছে ওর এ এক বড় আপসোস।
১৪.০৫.২০১৫