নিদ-মহলের স্বপ্ন তুমি কল্প-লোকের কল্পনা,
পান্ডুলিপির পদ্য তুমি, শিল্প কলার আলপনা ।
নিদাঘ রাতের শীতল হাওয়া,
আপন মনে যে গান গাওয়া
সে সুর তোমার কাছেই পাওয়া
                        তুমিই মনের জল্পনা,
তাহারে কি ভাবছো কভু, তুমিই যাহার কল্পনা ?


সাঁঝের বেলার সন্ধ্যা-তারা, সপ্তঋষি রাত্রিতে,
সবার চেয়ে আপন তুমি, পথের সহযাত্রীতে ।
বর্ষাকালের ঝুমুর ঝুমুর
ছন্দে গাঁথা একটানা সুর,
তুমিই বাজো সকাল দুপুর
                    আমার হৃদয় তন্ত্রীতে,
আছো তুমি চুপিসারে আমার মনের সুরটিতে ।


ঊষার আলোয় সপ্তরঙে ছড়িয়ে মানস-ভুবনে,
কণক কান্তি সকাল বেলায় তোমায় দেখি ফুলবনে ।
শারদ প্রাতের শিশির-ফোটায়,
সিক্ত ঘাসের শিউলি-বোঁটায়,
মুচকি হাসির মধুরতায়
                    দেখি তোমায় আনমনে,
ভুবন জুড়ে তোমায় দেখি উদাস মনের বিজনে ।


মিষ্টি পাখির কল্লোলেতে তোমার গানের সুর খুঁজে পাই,
গুলবাগিচার সুগন্ধেতে মলয় হাওয়ায় গান শুনে যাই ।
হেমন্তেতে ধানের খেতে
দোল দিয়ে যে উঠছেমেতে,
তোমার সাথে দেখা পেতে
                     মাঠের পাড়ে যাই,
ধানের বুকের হিল্লোতে তোমার দেখা পাই ।


রাত্রি শেষের  শুকতারকা থাকো  তুমি গগণ-বুকে,
মৃদু হাসি ফুটে ওঠে তোমার স্মিত হাসি মুখে ।
শীতের রাতে নগ্ন বেশে
প্রকৃতিটি দাঁড়ায় এসে,
তার মাঝেও ভালোবেসে
                     দেখি তোমায় সুখে,
চোখ রাঙিয়ে তাড়িয়ে দেবো নিরস নিন্দুকে ।


চাঁদের দেশের জোছনা রাতের তুমিই মনের মাধুরী,
সাগর-বেলায় সৈকতেতে তুমিই মুক্তো-নুড়ি ।
বাসন্তিকার কুহুরাগে
তোমার ছবি মনে জাগে,
তাইতো মনে দোলা লাগে ।
                    আশার পুষ্প-কুঁড়ি—
ফুটাও এসে পরশ দিয়ে , হে সন্ধ্যা-মাধুরী ।
********************************