পৃথিবীটা কখনো যদি কক্ষচ্যুত হয় ,
স্তব্ধ যদি হয় তার পরিক্রমন গতি ,
রুদ্ধ যদি হয়ে যায় কখনো ঘূর্ণন ,
বদ্ধ পাগল বলে বিদ্রূপ করোনা আমায় ।
জাগতিক নেই কিছু শাশ্বত-অব্যয় ,
বিজ্ঞানের তত্ব-জ্ঞানের সূত্র ভিত্তি করে—
ভাস্করের জ্বালানিও একদিন হলে নিঃশেষ ,
পৃথিবীটা নিমেষেই ডুবে যাবে —
অন্ধকারের সুগভীর অতল তলে !
প্রযুক্তির পাঠাগারের উর্বর মস্তিষ্ক
নির্বাক দর্শক হয়ে দেখে যাবে ,
আমাদের ধ্বংসের শেষ চিহ্নটুকু ?
প্রাক্ মুহূর্তে বিস্ময়কর মহা বিস্ফোরণের
সুদূরের কোন এক উত্তর লোক
একদল কর্মক্ষম নিরলস সহযোগী লয়ে
অনাগত সেদিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ------
প্রযুক্তির প্রসাদে ধন্য ভাসমান গবেষণালয়ে
কর্ম-সাগরে ব্যস্ত পৃথিবীকে নিয়ে
অন্য এক নক্ষত্রলোকের —
নবতর কক্ষপথে করিতে স্থাপন ।
দমবন্ধ বিস্ময়ের সেই লগ্ন-ক্ষণ
দূর থেকে দেখা যায় অন্তর্লোক থেকে ।
ধ্বংস করার শক্তি যদি থাকে
তবে পরমাণু-কল্যাণে কেন—
রক্ষিত হবে না ভুবন ,
লক্ষ কোটি জীবনের এই খেলাঘর ?


            ##########