ছায়াঘন দুপুরের জ্বলন্ত আলোয়
একখানি তটিনীর ঘন নীল জলে
হংস যুগল দুটি জলকেলিতে
মগ্ন আপন মনে বালুকার তট সন্নিকটে ।
এঁকে বেঁকে চলে যাওয়া —
দুধারে বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাসের সমারোহ ,
তার মাঝে দু চারটি কাশ গাছে
দোলায়িত শ্বেত-শুভ্র ফুলের হাসি —
ম্লান করে দেয় সত্যি
ষোড়শী নৃত্যরতা যুবতীকেও ।
সাথী হারা উড়ন্ত বলাকার মত
আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া দুটি পাখা যেন—
বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে তরিকাটি চলে
প্রশান্ত জলের বুকে
অগ্রগামী আরেকটি তরণীর দিকে ।
মানস-সরসী তীরে স্মৃতির ঝলক
অঙ্গুলী নির্দেশ করে শতাব্দীর পেছনের দিকে ।
মনে হয় যেন গাঁয়ের নব বধূ এক ,
কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঞ্জিতা হয়ে
অবগুন্ঠিত তার বসনের ফাঁকে
অশ্রুসজল চোখে চলিয়াছে নায়রীর বেশে ।
বেদনা মথিত তার হৃদয়ের বাণী
ছড়িয়ে , চলেছে তরী বাতাসের টানে ।
নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা বিটপীটা যেন
বিদায়ের বাণী নিয়ে চুপচাপ চেয়ে আছে নদীটার বাঁকে ,
যেখানে দিগন্ত বেয়ে থরে থরে মেঘ
সাদা ও ধূসর রঙের মাধুরীতে মেখে
চিত্রিত করেছে নীল আকাশের কোন ।
মৌচাক নামাঙ্কিত দৃশ্যাঙ্কিত পান্থশালাখানি ,
কর্মক্লান্ত পথচারী যেখানেতে এসে
ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় বাঁধা বাহুডোর থেকে
নিজেকে মুক্ত করে ছাড়ে
এতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ।
           —০—