গরীবের প্রতি করুণা করছিস ! কোথা পেলি কৃপা-বল ?
তোরাও যে সব কৃপার ভিখারি , ভেবেছো শোষক দল ?
দুখীর রক্তে তোরা বলশালী , তাদের অর্থে ধনবান ,
তাদের শ্রমের ঘর্মপাতেই ওই ইমারত গরীয়ান ।
কান পেতে শোন্ প্রতিটি কোঠায় বইছে তাদের শ্বাস ,
সিমেন্ট-বালির প্রতিটি কণা করিতেছে পরিহাস ।
তোদের ভোগের প্রতিটি অন্ন ,তৃষ্ণার বারিবিন্দু
তাদের শ্রমের সাক্ষ্য দিচ্ছে শস্যের খেত সিন্ধু ।
তোদের জুতোর পেষণীতে শুনি শ্রমিকের ক্রন্দন ,
বসন-ভূষণে রহিয়াছে দেখ  তাহাদেরই ইন্ধন ।
জীবনে তোদের প্রতিটি নিমেষ কাটছে যাদের চেষ্টায় ,
তোরা ভাবছিস—তোদের অর্থে বাঁচে যে তাহারা শেষটায় !
ওরে ও —  নিমক হারামী দল !
শ্রমিকের শ্রম না থাকিলে যেত দুনিয়াটা রসাতল ।
দেশের অর্থে , দশের শ্রমেতে হইছিস তোরা পুষ্ট ,
লুন্ঠন করে সেই সম্পদ , তাদের প্রতি হও রুষ্ট ?
তারা যদি করে বসে , এক হয়ে সবে কর্ম-বন্ধ ঘোষণা ই
একটা দিন কি চলিবে তোদের ? কোথা রবে বল্ রোশনাই ?
তাদের শিল্প কুশল হস্তে তাদেরই কর্ম ফলে ,
লজ্জা পাচ্ছিস ? সত্যি তোদের জীবন প্রবাহ চলে ?
তাহারা তবু বলে না সে কথা , বরং চিন্তা করে—
তোদের কৃপায় বাঁচে পরিজন , নইলে না খেয়ে মরে ।
শ্রমিকের এই হীনমন্যতায় বেড়েছে অহঙ্কার ,
ওদের হৃদয় পাষাণ হইলে রক্ষা নাইরে আর !
শোষণ-পীড়ন ছেড়ে দিয়ে আয় , চেয়ে দেখ নীচু তলে ,
ওরাও মানুষ , ওদের জীবনে দাউ দাউ করে জ্বলে
অভাব-বহ্নি গ্রাস করিয়াছে তোমাদেরই বিলাসেতে ,
লুণ্ঠিত ধন ভাগ করে দাও সাম্যের আবেশেতে ।
                    *****************