শ্রাবণের অবিশ্রান্ত অঝোর ধারাপাতে
পরিস্নাত অন্তরের কথাবলা বিহঙ্গ
নীরব নিস্পন্দ আজ নিজস্ব আলয়ে ।
প্রসারিত দু’চোখের সীমাহীন দৃষ্টি
অসীমের সীমানায় অস্পষ্ট স্থির ।
চারিদিক নিচ্ছিদ্র অবগুণ্ঠন টেনে
নিসর্গ আজ বন্দিনী মেঘের সীমায় ।
সানাই-ভাজা পরিণয়ের প্রাক্ লগণে
গায় হলুদের অবনত লাজুকলতা
বিয়ের বধূর সাজে কনেটির মত—
স্নানের উৎসবে মাতোয়ারা নব কিশলয় ,
শতচ্ছিন্ন বিপর্যস্ত প্রস্ফুটিত ফুল-দল
লজ্জায় কুণ্ঠিত মরিয়া সবাই ।
পরিপূর্ণ যৌবনে উথলিত ঝিল—
হংসের চঞ্চুপুট পালকে লুকিয়ে
অলস মুহূর্তগুলি নীরবে নিশ্চিন্তে
কাটাচ্ছে স্বপ্নীল মেঘ-ভেজা তন্দ্রা বাসরে ।
বিরহে কাতর বধূর প্রতীক্ষা পেরিয়ে
নিশ্চল সময়ের প্রতিটি একক ,
তার চোখে বারিধারা ছলকি ছলকি ,
প্রণয়ীর পথ চেয়ে ঝাপসা দু’চোখ ,
তবুও শ্রাবণ ঢেলে যায় ধারা বরিষণ ।
             #########