স্বামীজি অনুসরণে)
গঙ্গোত্রীর স্বচ্ছ ধারা বয়ে চলে খরস্রোতে
অনন্তে মিলন আশে কুলুকুলু রবে ।
জলপ্রপাত ঝাঁপ দিয়ে আসে সমতলে ,
তারও সেই একই গতি , উদ্দেশ্য একটাই—
ধেয়ে চলা ।  
অসীমতায় মিশে যাবার আকুতি মনে ।
অজস্র ঝর্ণাধারা প্রাণ পণে ছুটে চলে—
অসীমতায় মিশে যাবার আকুলতা নিয়ে ।
উপনদী উৎস থেকে নিয়ে আসে আশা,
সরাসরি পারে না সে অনন্তে মিশিতে ,
(তবু) থমকে যায় না তার মিলন-পিয়াসা ,
তাই সে মিলিত হয় বড় কোন নদী মোহনায় ।
আচমকা কোনো বাধায় পথান্তর ঘটে গেলে
ভিন্ন পথে শাখা নদী ধেয়ে যায়—
অসীম-অনন্ত সেই বিরাটের দিকে ।
বৃষ্টির ধারা থেকে কত খাল , ছোট নদী—
জন্ম লভিয়া চলে একই দিকে একই আশা নিয়ে ।
এ ভাবেই ছোট খাল, ঘোলা জলে পূর্ণ হয়ে নর্দমাও
কখনো নোংরা অচ্ছুত জল বুকে নিয়ে বয়ে চলে—
একই লক্ষ্যে একই দিকে ভিন্ন ভিন্ন পথে ।
সবার গন্তব্যস্থল সেই অনন্ত জলরাশি ,
সুমহান অথই সেই নিরাকার মহাবারিধি ।
অনন্ত সে পারাবার সবাকেই নেয়—
সমাদরে করিয়া বরণ ।
সব পথ, সব গতি ,নানা আকার, নানা রঙ
মিলে মিশে সেথা হয়ে যায় পুরো একাকার ।
            ***************