সে কালেও দেখেছিনু—
শারদীয়ার আগমনে কত ধুমধাম ,
কত আয়োজন !
সাজো সাজো রবে মুখরিত চারিদিক ।
ঢাকের ডঙ্কা-নাদে খেলে যেত ঢেউ—
মানুষের মনের প্রতি আনাচে কানাচে ।
তারপর একদিন এসে যেত মহা শারদীয়া ,
সাদা কাশ-সরোজিনী-শিউলির সাথে
জুড়ে যেত মানুষের সাধারণ অতি সাদা মন ।
আবিলতাহীন আলিঙ্গণে ভরে যেত মানুষের বুক ।
মানুষের কোমল মন কমলের সাথে
প্রস্ফুটিত হত পরিপূর্ণ বিকশিত রূপে ।
বিজয়ার পরশ লেগে শুকাত সে ফুটন্ত কুসুম ।
মন মরা হয়ে যেত মানুষের মন ,
বুক ফাটা কান্না ঝরে ঝরে পড়ে
ভিজে যেত অনর্গল আর একের বুক ,
অজ্ঞাত স্বরে উঠিত বাজিয়া—
“যেতে নাহি দিব
তবু যেতে দিতে হয়
তবু চলে যায় ।”


আজো আসে শারদীয়া ।
বস্ত্র-বিপণীগুলি চোখে পড়ে সবার আগে—
বোঝা যায় শারদীয়া সমাগত প্রায় !
চাঁদার জুলুম দেখে বোঝা যায় কত আড়ম্বর
কত সমারোহ ।
থিমের লড়াই আর
বিজয়ের পাল্লায়
বাজেট বিভব ফোটে শহুরে সমাজে —
সিংহভাগে থাকে তার দেবী-বিসর্জন ,
কত ভারী বাজি আর কত সোমরস !
তারস্বরে বাজে সেথা পুজোর প্রচার ।
বিসর্জনে নেই কোন বিষাদের ছায়া ,
মত্ততা যত বাড়ে ততই আনন্দ—
উথলিয়া ওঠে শুধু শোভা যাত্রা মাঝে ।
   **********************