বড় ভালো লাগে রবীন্দ্রনাথ
তোমার প্রসস্তিতে যখন বৃদ্ধি খ্যাতির স্বীকৃতি।
তর্পনে নানান আঙ্গিকে পদার্পণ।
সমৃদ্ধ উদ্বেলিত হৃদয়
সোপান বেয়ে উত্তরণ।
আরপারে গলে যায় বেদনার শ্বেতমর্মর
স্রোতস্বিনী বাস্পীভূত।
তোমার ভারত ভাগ্য বিধাতার উদাসীনতা ও উন্নাসিকতায়
শ্যামলীমার নাক দিয়ে বেরোয় গরম বাতাস।
ধুঁকছে দ্বিপদ নেড়ি কুকুরের দল।
জয়ের অঙ্গীকার পড়েছে মুখ থুবরে
সাহসের গজিয়েছে দুঃসাহসের পালক।
বুকের রক্তে শ্বেতকরবী হল রক্তকরবী।
বলতে পার রবীন্দ্রনাথ?
আর কত রক্তকরবী প্রয়োজন
তোমার জনগণমন অধিনায়কের?
পাঞ্জাব-সিন্ধু-গুজরাট-মারাঠার রক্তে,
তৃপ্ত হয়নি রসনার।
ভারত মাতার ছিন্ন অঙ্গের
কোষ কলা রক্ত মাংসের মিলন পিয়াসী
আর্তনাদ
আকাশে বাতাসে...
শুনতে পাচ্ছ রবীন্দ্রনাথ?
তোমাকেই বলছি,
হ্যাঁ, হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি।
আর কত আর কত রক্ত চাই?
তোমার জনগণমন অধিনায়কের!
আর কত রক্ত চাই?
তোমার ভারতভাগ্যবিধাতার!