আঙ্গর পাড়ার গণি খাঁ’র বাপে
আশেপাশে থাহন যায়না
ঐ শালার বুইড়ার তাপে,
বুইড়া হক্কর হক্কর কাঁশে
বালু দিয়া বাগি দাড় দেয় বাঁশে,
পোলাপাইন দেখলেই বুইড়া
আজাইড়া গাইল পাড়ে,
কথায় কথায় হুদাই খালি
গণির মায়রে ধইরা মারে,
বৃষ্টি নামলে বারিন্দাত বইয়া
থোরার উপড়ে তাইতা কাটে,
গণির মায় খই ভাঁজে
বুইড়া যায় সদরাবাড়ী হাটে,
ভাঙ্গা একটা মোবাইল ফোন
রাবার দিয়া বাইন্ধা থয়,
ডেলি ডেলি যাইয়া খালি
আজমলেরে ঠিক করে দিবার কয়,
পোলাপাইন সব করি পরামিশ
ক্যামনে পাই হালার বুইড়ার দিস্,
সামনে দিয়া গেলে বুইড়া
কইরা ওঠে খেরখের,
ব্যাক্কে মিল্লা মনে মনে কই
শালা’ আইজকা পাইবা টের,
পাঁইপার গাছ আছিলো তার
খেরের পালার পাছে,
তাও পরায় তেরডা পাঁকনা পাঁইপা
ঝোক্কায় ঝোক্কায় ধইরা আছে,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামলো
এক্কেরে ভাই হাইঞ্জাবালা,
ব্যাকটি পাঁইপা আইনা খাইলাম
কইরা কাইটা ফালা-ফালা,


পরেরদিন আছিলো ভাই শুক্কুরবার
বুইড়া যা্ইয়া দিল জুইমব্যা ঘরে বিচার,
দাড়ি নাড়াইতে নাড়াইতে কয়
শালারা কইরা ফালাইছে আমারে ক্ষয়,
অইন্ন্যা আছিলো ম্যায়্যা জামাইর খাবার
তেইশটা পাঁইপা আমার করছে ওরা সাবাড়,
শরীল নাচায়া কয় বেটায়
আমি আর কিছু কমুনা,
বিচার না পাইলে পরে
এই গাঁয়ে আর থাকমুনা,


ক্যাঠা খাইছে কি সুমাচার
ক্যাঠা করবো কার বিচার
মুরুব্বিরা চায় পার পাবার,
এরই মইধ্যে আঙ্গরে আক্তার শালা
এই শালারতো আছিলোনা কোন তলা,
আক্তার হাত ঝাঁকায় আর কয়
ইল্লাও কি শৈল্লে সয়,
তেরডা পাঁইপারে তেইশটা বানায়
এই কতা কি বুইড়া মাইনষের মানায়?
আরে শালা; করলি কি? ক্যাঠা কই যায়!
জুতা-টুতা থুইয়া ব্যাক্কে দৌড়ে পালায়।