চাটগাঁইয়া মাইয়া সিমোনি
তার কথা কেহ জাননি?
ছিল তার মায়ের চোখের মণি
আদরমাখা মুখের ছিপছিপে সিমোনি;
তীক্ষ্ণ চোখের চাহনি,
জামরুল রং-এর দেহখানি
একলা পেয়ে একদিন-
সুযোগ নিল অমনি,
সুধালো মোরে মধুর সুরে
আরে ঐ ভিনদেশী ওরে.. ..
“আঁরার চট্টগ্রাম তোঁয়ার ভালা লাগেনি?”
“তোঁয়ার লগে আঁর, কিছু অইবার পারেনি?”
“তোঁয়ার বাড়ী জামালপুর-ইয়ান কদ্দুর?”
“হিয়ানো আছেনি সুমুদ্দুর?”
“ইয়ান, হেনি; নো-খালীর ধারেনি;
“হিমুইক্কা যাইতে বারবকুন্ড পড়েনি?”
“পাহাড়তলীর লোকাল ট্রেন
তোঁয়ার ইষ্টিশানে ধড়েনি?”


আমি বলি-
লাকসাম, ফেনী, নোয়াখালী ছাড়ি
কুমিল্লা জেলা দিবে তুমি পাড়ি,
আরো কিছু পড়ে রাজধানী জেলা ঢাকা
তারপর গাজীপুর, টাঙ্গাইলের পাবে দেখা,
আরো সামনে গেলে
জামালপুর জেলার দেখা মেলে;
সূচের কাজ আর নঁকশী কাঁথা
সুনামের কত আছে গল্প কথা,
পাখির কন্ঠে সুর-
প্যারা মিষ্টি খাইতে মধুর,
প্রাণে ভরা বসুন্ধরা
ঐতিহ্য বলে যাবেনা শেষ করা,
সারকারখানা যমুনা এশিয়াতে বড়ো
আরো আছে কতযে; ইতিহাস পড়ো,
এক মানুষের এক মন; একখানি তা সুমুদ্দুর,
আমার জেলা জামালপুর,
সুধাই তারে-
যাবে কেমনে; তুমি এতদূর?
সিমোনি বলে, ওরে.. ..
গলা ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বরে,
“যাইয়ুম, যাইয়ুম- পাখনা লাগাই”
“তুই আঁরে লই যা; ভাগাই”
ছোট্ট মাইয়ার বড় আশা
চায় শুধু ভালবাসা,
সিমোনির চোখে ভালবাসার ঘোর
বলে, “সিনেমা চাইতে লই যাও
আঁরে অলংকারের মোড়”


দরিয়া ভরা নোনা পানি
পান করা যেমন যায়না,
চট্টলা পরীর ভালবাসা
গ্রহন করাও হয়না,
মনখানি মোর বান্ধা আছে
অজো-গাঁয়ের এক নিশির কাছে,
হয়নি দেখা; হয়নি লেখা, এক ছত্র
পেলে সিমোনিকে, পৌঁছে দিও এই পত্র।