খয়বর আলী “ত্রাণ” থেকে চায় পরিত্রাণ
ভালো লাগেনা তার বরাবরের বেসুরো গান,
বানভাসি খয়বর আলী মনে মনে বলে
এত পানি খোদায় ঢালে কোন কলে,
ভাইসা গেল গরুগুলি মরার বানেরজলে
ক্ষেতে বুনা স্বপ্নগুলি পড়লো পানির তলে,
এদিকে বড়’রা সব দিচ্ছে মুখে “শান”
হরদম ছুটছে তাদের ফেনাতুলা বাক্যবান,
বলে-সমস্যা নাই; দিব আমরা ত্রান
কেহ বলে, কাকা; রাখেন আপনার গান,
দান পরে দিয়েন; আগে রাখেন মান
সুযোগ একটা পাইলেই; পুরানা গান বাজান,
খাওন-দাওন লাগবোনা; হাগা-মুতা করবো কই?
আসল কাজ কিছুনা; খালি করেন হইহই,
“কাকা” বলে থামেন; দেখছি যখন আছিলেন
ত্রাণ-টানের বিনিময়ে পয়সাও কিন্তু নিছিলেন,
খয়বর কয়, দেখছ; করে কেমন কুস্তি
আমাগোরে দেহায় সব; ভেতরে ভেতরে দোস্তি,
খয়বরের পোয়াতি বউ; নড়বার চড়বার পারেনা
ব্যথা উঠলে কই যাবো; খয়বরের মাথায় ধরেনা,
ইটের উপর দিয়া ইট; চৌকি করছে টান
বিছানার সুখও চায় বুঝি; এবারকার বান,
দান-ত্রাণ লাগবোনা; সবে হুশে ফিরেন
খয়রাত যেন না লাগে; এমন কিছু করেন,
চৌকিতে বইয়া কান্দে; চাইর বছরের ছাও
খয়বর কয় “মাবুদ”, তুমি যদি বাঁচাও।