মহাজন! কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য দাও
মালিক! শ্রমিকের শ্রমের ন্যায্য মূল্য দাও
নইলে আজ বইয়ে দিব রক্ত গঙ্গা
আমার কলমের কালি দিয়ে
ইতিহাস রচিত হবে আজ এই বাংলায়
শুধু রক্ত নয়, তোমার হাঁড়-মাংস
এমনকি হৃৎপিন্ডকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলব
আমার কলমের চলমান খোঁচায়
সাবধান হয়ে যাও জোতদার-চটকদার!


একদিন তুমি ভস্ম হবে তোমারই অন্তর্গত কলহের আবর্তে
একদিন তোমারই নামে নেড়ি কুকুর
পুষবে পোড় খাওয়া অসহায় মানুষগুলো,
তুমি সাবধান হও তোমার শকুনীর লালস দৃষ্টি থেকে।


দরিদ্রের দারীদ্র্যতা আর পরনের ছেঁড়া কাপড়
বড় সস্তা মূল্যে কিনে করো তা রিপু,
অধিক মুনাফা লাভে প্রাত্যহিক হও বিচলিত।
কৃষাণীর শরীরের ঘাম কিনে পরিশোধিত করে
পান কর-বিদেশী লাল জলসমেত
ওদের চোখের এলোমেলো স্বপ্নগুলো
তোমার চাতালে যত্নে সাজাও থরে থরে।


সাধারণ জনতার সম্মুখে তোমার
অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার কর,
অবলিলায় বলে ফেলো তোমার নীতি বিবর্জিত ব্যবসার কথা
নইলে এই জনারোণ্য জানে আমার অশ্লিল লিখনী-
কত বিশ্রি ভাষা আমার কলম প্রোস্রব করতে পারে
শুধু তোমার বোধগোম্য নয়-মাথামোটা হাদারাম
তোমার মত বিবেকহীন, কু-রুচি সম্পন্ন পিশাচ নিশ্চয় বুঝবে না!


নিজেকে শুধরে নাও ঠকবাজ-দালাল
নইলে আমার শানিত চরণগুলি
তোমায় নীদ্রাবিহীন মৃত্যুর প্রহর এনে দিবে।


বিশ্বাস হয়না! মহাজন!! তোমার? তবে শুনে যাও
বাস্তুহারা এক কৃষকের আর্তনাদ।


“আজ থ্যাইকা আমার সোনার ফসল তোমার
আড়তে তুইলা দেব না মহাজন,
আমি আমার যাপিত জীবন
নিজের অর্জিত ফসলের দিকে তাকায়ে
নির্ঘাৎ বিসর্জন করবো,
তবুও পানির দরে আমার গতরের রক্ত
তোমার শরীরে প্রবাহিত হতে দেব না।
কখনোই না, কিছুতেই না”।