তোমায় আমি খুঁজে ফিরি
কোথায় গেলে নাহি বলি,
তোমায় হারিয়ে আজ পাগল আমি
কেউ দেখেনা পাগলের পাগলামি,
কেউ বুঝেনা-কেউ খুঁজেনা-কেউ রাখেনা কথা,
নির্জনতাকে সঙ্গী করে আজকে
আমি পালন করছি নীরবতা।
আজকে তোমার স্মরণ-বেলায়
বুকটা গেল টুটে!
এতো করে ভালবাসার পরেও
বাঁধন ছিরে তুমি গেলে ছুটে।
আজকে তোমার মাঝে নেই যে আমি,
নেই যে কোন খানে,তাইতো স্বপ্ন,আশা-নিদ্রা গুলো  
হারিয়েছি অন্ধকারের পানে,
যেখানে আমি যাই ছুটে আজ,যেথায় রাখি চোখ
শূন্য কোঠা সব জায়গাতে বাড়ে মনের শোক।
ইচ্ছে করে নিথর দীঘির শীতল জলে
কলসি বেঁধে লুকাবো তলে-
এই ঘাঁটেতে কখনও যদি আসে ফিরে
তোমার তরী, ভাসব না হয় আবার আমি-
ভেঙ্গে সকল কষ্টের ঘানি!
তোমায় দেখে চোখ জুরাব,  
পাবো কমল হাতের নরম ছোঁয়া
তোমার পরশ খানি।
যে আঁধারে অস্ত গিয়েছিল ডুবে-
তুমি আসলে জাগবে আবার পূবের সূর্য রবি।
বইবে আবার চৈতী হাওয়া
আমার দোলায় দোলখাবে আজ তুমি,
সব খানেতে আজ তোমায় খুঁজি, না পেয়ে
একলা একা নদীর ধাঁরে আমি নিরবধি।
মনে পরে আজ তোমার কথা-
আসতে তুমি হাসতে সুখে,তোমার সাথে
হাসত যে ফুল চামেলী,টগর,শেফালী-বকুল।
তোমার ঐ রুপের দোলায়-দুলিত মহুয়া বন,
নেচে উঠিত গাছের ডালপালা
পাখিরা গাইতো গান বাতাসে লাগিত সুখের টান,
আজ আমি চমকে উঠি তুমি হীনা নেইযে সুখি  
মনেরও ফুল দানী, ফুল হীন আজ শূন্য বাণী
করুন সুরের ডাক শুনে মোর আসতে আলতা পায়ে,
রজনীর আঁধার গায়ে ঠোঁটে রেখে মিষ্টি হাসি
ডাকিতে চোখ ইশারায়-আকাশের তাঁরায় তাঁরায়
দুজনার মন হারাত!
আজকের এ শ্রাবণ রাতে সঙ্গী হলাম স্মৃতির সাথে,
নির্জনতা কে সঙ্গী করে একলা আমি বন্দী ঘরে।
  (বইঃ মুক্ত পথের পথিক।)