একজন চর্ম কারিগর
হাসান মাহমুদ


সন্ধ্যার পরে রাস্তার মোড়ে ল্যামপোস্টের নিচে
সাদা কালা মলিন কোরতা পড়নে
এক বয়স্ক পুরুষ বসে বসে চেয়ে আছে।
চোখ তার দুদণ্ড হচ্ছে না এলোমেলো
বাজপাখির মতো তীক্ষ্ণ সরু চোখে
তার করুণার এক ফালি সন্ধ্যার তারা ভাসে,
মনে হয় ক্লান্ত মনে কি যেনো বলতে চায়
কি যেনো পাওয়ার সহস্র আবদার,
আজ তার খিদের রাজ্যের ঝুলি ফাঁকা
এক মুঠো অন্ন আসেনি তাতে,
খিদে আজ গা কাপছে থরথরে
ঘরে বৃদ্ধ জীবন দামিনী
রোগে শোকে ভুগছে বহু দিবস রজনী।
ওষধ কিনবার নেই কোনো কড়ি
আজ হয়নি ব্যবসায় কানা কড়ি।
এমনি চিন্তার অন্তরালে বসে
জীবনের স্বাদটাকে কামরে ধরে
জীবনের বাঁকে চলে গেলো কত বছর।
ছেলে দিলো তিন খান জন্ম
মেয়ে তাও দুই খান কম নয়,
তারা আজ আলিশান প্রাসাদে
টাকার উপরে করে পায়চারি
বৃদ্ধ ভিখারিনী হয়ে আজ বাবা মা
ভুগছে বহু দিবস রজনী মহামারী।
বাবার পেশায় লজ্জায় মুখ লুকায়
সবে ঐ আদরের সন্তান দয়,
যে পেশায় জড়িয়ে আনিল এতো দূর
সে পেশাকে লাথি দিয়ে বাবাকে কাঁদায়।
আজ বলছি বৃদ্ধ এক চর্ম কারিগরের বানী
চোখের নিচে কালো করেও আজও গুণে গ্লানি।