চন্দ্র কলা
হাসান মাহমুদ


তাহাকে দেখেছি আমি জীবনের প্রথমা
যেমন শুনেছি পুতুলের রূপ প্রতিমা।
তেমনি বর্ণনায় এঁকেছি আঁখিতে
বক্ষে দিয়েছি যতনে ঠাঁই আমাতে।
তাহারি হাসিতে পরাণে বাঁধে প্রেম
হাসি যেনো আঁধার চন্দ্রের ফ্রেম।
তাহারি কেশ যেনো কস্তুরি সৌরভ
মেনে যায় হার কালো মেঘের গৌরব।
কপালে যেনো বাঁকা চাদের তিলক
তাকালেই মন ভরে দেখি এক পলক।
ভুরু যেনো রং ধনুর সমাহারে আঁকা
নূতন চাঁদেরি মতো কিছুটা বাঁকা।
চোখ তাহার সুচারু নির্মল পবিত্র
লাজে লজ্জায় উপমা নেই সুধা সাবিত্র।
নাক তাহার চিকন সরু তরঙ্গিণী
চঞ্চলতায় সৌন্দর্য মণ্ডিত তরুণী।
ঠোঁট যেনো লাল পদ্ম রসে পরিপূর্ণ
গোলাপ মেনে যায় হার রয় অপূর্ন।
দাঁত তাহার হীরক মুক্ত, ধবল হীরা
দুগ্ধ দধি সবাই হে'রে তাহা খাঁটি হীরা।
বদন তাহার পূর্ণ চন্দ্র কালো অমাবস্যায়
বাসগৃহ তাহার আলো পূর্ণতা পায়।
কর্ণ দ্বয় পরিয়া স্বর্ন হীরক মালা
পূর্ণ করলো সুন্দর বদন উজ্জ্বলা।
কি দিবো তার রূপের বর্ণন
ভাষায় প্রকাশ নয় যে তাহা কথন।
বচন তাহার অমৃত সুধার বাণ
এক বচনেই কারিল আমার প্রাণ।
পৃথিবীর বুকে আমারি দৃষ্টির পূর্ণতা
রূপ গুণে চলন বলন অমলিনতা।
উপমার তরে নাম দিয়েছি চন্দ্র কলা
সুধাই আমার মনের কথন একেলা।।