যে কবিতাকে ভালোবাসে না
হাসান মাহমুদ


যে কবিতাকে দেখে ভয় পায়
আমি তাকে ঘৃণা করি,
যে কবিতাকে দেখে মুচকি হাসে ঠাট্টা বিদ্রব করে
আমি তাকে বেহায়া, নির্লজ্জ কাপুরুষ বলি।
কারণ কবিতা কখনো কাপুরুষ, ভিতু,দুর্বল লোককে প্রশ্রয় দেয় না,
কবিতা সে সাহসী বিজয়ী এক নাম।


যে কবিতাকে দেখে বলে
এতো সহজ সরল এক বাক্য,
আমি তাকে শান্ত গলায় বলি
তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না ভাই,
তার চেয়ে তুমি ডাল ভাত খেয়ে নিদ্রায় থাকো।


কারণ কবিতা এতো টা বোকাসোকা কথা নয়,
সে এক তাণ্ডব ঝরানো
এলো কেশী বর্ণ, শব্দ।


তাই!
যে কবিতাকে ঘৃণা করে
আমি তাকে পদে পদে অপমান লাঞ্ছিত করি,
পাহাড় সমান অপদস্থ করি।


কবিতা সে তো একাত্তরের কলরব,
কবিতা সে হারতে জানে না,
কবিতা সে অপমানিত হয় না।
কবিতা সে এক বিদ্রোহের নাম,
কবিতা সে এক সাহসের নাম।


কবিতা হলো!
যে সত্য বলতে জানে সে-ই কবিতা,
যে মিথ্যাকে ধূলিসাৎ করে সে-ই কবিতা,
যে উচিত বাক্য শ্রবণ করে সে-ই কবিতা,
যে ভালোবাসতে জানে সে-ই কবিতা।


কবিতা সে মানুষের অধিকার,
কবিতা সে নজরুলের না খেয়ে দিন যাপন করা,
কবিতা সে মুজিব, ভাসানি, ফজলুলের অধিকার,
কবিতা সে রবিন্দ্র ভালোবাসা,
কবিতা সে শিরি-ফরাদ,লইলি-মজনু,দেব দাস-রজকিনী,
কবিতা সে ইউসুফ -জো লেখার ভালোবাসা।
কবিতা সে জসিমউদদীনের নকশিকাঁথার মাঠ,
কবিতা সে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা,
কবিতা সে ফর রুখ আহমেদের রেনেসাঁস,
কবিতা সে লুফিয়া কামানের রক্তের বেদন।


তাই!
যে এ কবিতাকে অপমান করে,
লাঞ্ছিত পদানস্ত্য চেষ্টা করে,
আমি তাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে মারবো।


আর এ কবিতাকে নিয়ে
যে একটা কথাও বলবে,
আমি! হুম আমি তাকে
কামানের গোলায় ঝাঁঝরা করে দিবো।
তার বুককে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে
শিয়াল শকুন কে খাওয়াবো।


যারা কবিতাকে ভালো বাসতে জানে না,
আমি তাদের বিরুদ্ধে একশোন নিবো,
তাদেরকে এ কশো চুয়াল্লিশ ধারা
জাড়ি করে মেরে ফেলবো।


যে বা যারা আমার এ কবিতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে,
আমি তাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করবো।


যে এ কবিতাকে নিয়ে আর একটা কথা
হুম! আর একটা কথা বলবে,
আমি তার জ্বিব উপরে ফেলো কবিতার মাধ্যমে।


এ কবিতা আমার রক্তের শিরা উপশিরায় মিশে আছে,
কবিতা আমার রক্তের ধমনী, হৃদপিণ্ডের বায়ু।


যারা কবিতাকে ভালো বাসে না,
আমি তাদের শুধু গ্রাম নয়,
এ দেশ থেকে বিতাড়িত করবো।
কবিতার মাধ্যমে


নং৬৯
০৬/০৬/২০