কি নাম দিবো তম!
হাসান মাহমুদ


এ পুষ্পমালতি ধরণীর বুকে
কি নাম দিবো তম?
কত খুঁজিয়া মরিলাম মুই!
বারোমাসি সন্ধানী হইয়া।
এবার এসে ঠেকে গেছি বসন্তে,
বসন্তের খোলা দুয়ারে তোমার জন্য
এক বাটি প্রেম নিয়ে দাঁড়িয়েছি প্রিয়তম!
পাতা ঝড়া লম্বা গাছটিতে কোকিলের গান,
সুরটা বেশ ভালোই লাগলো
মনে হয় তোমার জন্য গেঁথেছে।
আমিও সুর টানি তার সাথে বেসুরে
আমিও গান ধরি এলোমেলো ছন্দে।
প্রিয় তম! বসন্তের অনুরাগে আমি স্নিগ্ধ
আমি বড্ড তালহারা প্রেমিক।
দক্ষিণা সমীরে তোমারও কেশ দুলে
আমারি অন্তর চক্ষুর সম্মুখ পানে
মনে হয় কেশ নয় উড়ছে কালো মেঘ
এই বুঝি গগন ডাকিল লজ্জায় লাল হয়ে।
তম চিরল দন্তের উন্মাদ হাসি দেখে
হৃদয় দোল খায় শুকনো জলে।


প্রিয়তমা! কি নাম দিবো তম?
আমার আঁখি জুড়ে তুমিই একমাত্র
সুন্দরী, সুদর্শন, সুশ্রী, রূপনীলা।
তুমি আমার কাছে রূপতত্ত্বের জীবন্ত রূপকার
তুমি নীলাভূমির পরিপাটি সৌন্দর্য
তুমি সকল উপমার উপহার কৃত এক পদ্ম পুষ্প।
প্রিয়তমা! তোমার সৌন্দর্য হার মানে
কবেকার নাটোরের বনলতা সেন,
পুষ্পরেণুর মতো তোমার তনুশ্রী
তম নাম দেবার মত দূর সাহস হয়নি এখন
কিছু কাল যাক খুঁজে ফিরে দিবো তবে
আমারি অন্তর অন্তস্তল হতে তম নাম প্রিয়তম!