তোমার হাসির উনুন আজও পোড়ায় দহনের আঁচে,
তোমার কালো চোখের মাঠে আজও নিস্তরঙ্গ বিকেল নামে,
তবু পুরনো সেই স্নিগ্ধ মাদকতা আজ আর বেঁচে নেই,
আজ আর নেই মাতাল সহমরণের সেই পরিচিত ডাক,
একদিন চেয়েছিলাম তোমাতেই আজন্ম বিভোর হতে,
চেয়েছিলাম তোমার আঁচলকেই পতাকা করে মুছে নেব অশ্রুসিক্ত চোখ,
চেয়েছিলাম তোমার দরোজায় এসে থামবে আমার পায়ে চলা পথ,
ভেবেছিলাম তোমার আঙ্গুলগুচ্ছের নিভৃত অন্ধকারেই
জমা রেখে যাব আমার সমর্পণের একান্ত বর্ণমালা,
আজ আর ঘোর জাগতে পারেনা তোমার নাম,
ভালোলাগার প্রদোষ রক্তাক্ত করে তুমিই ঢেলেছ গরল,
নখের আচরে তুমিই বিদ্ধ করেছ মনের জলছবি বাতায়ন,
বিভোর মন তবু ভাবে তুমিও ভালোবাসো আমাকেই,
যে তুমি পথে পথে বিছিয়েছো বিভেদের কাঁটাতার,
যে তুমি বারবার বদলাতে চেয়েছো বিধিলিপি বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে,
যদি তুমি সত্যিই ভালোবেসে থাকো আমাকে,
যদি তুমি আবারো ফিরে পেতে চাও সেই সোনালি রোদ্দুর,
তবে তোমাকেই মুছাতে হবে বুকের সব দগদগে ক্ষত,
তবে তোমাকেই ভাঙতে হবে দুরত্বের চারদেওয়াল,
দুর থেকে যতোই তুমি হানো ভ্রুকুটির মারন বাণ,
জেনে রেখো আমি আর ফিরবো না কোনদিন,
আমি ক্রমাগত দুরে থেকে দুরে চলে যাব
তোমার জীবন থেকে,
তোমার স্বপ্ন থেকে,
তোমার অনাগত উত্তরাধিকার থেকে।