সুকন্যা, প্রচলিত জগৎ সংসারের নিয়ম নামের সময়ের
চেয়েও ভীষণ ভীষণ বয়সী বদমেজাজী, বিধান নামক
ভীষণ ভীষণ একচোখা ও সন্দেহ বাতিক বুড়ো, সবাই
মিলে জোট পাকিয়ে, অন্য আর দশটা জিনিসের মত ঐ
বুড়ো গুলো মানুষের হৃদয়ের নিজস্ব রাজ্যেও তাদের লম্বা
অহেতুক নাক গলিয়ে দিয়ে সমস্বরে বলে উঠে না না না
এ কিছুতেই হয় না, না না না এ হতে হয় না, না না না
এ কিছুতেই হতে পারে না, না না না কিছুতেই হয় না ।


সুকন্যা, তুমি আমাকে ঠিক না চিনলেও, আমি তোমাকে
ভালো না জানলেও আমার ভেতরের জলজ পুরুষ তোমার
চোখের ঐ নদীকে দেখেছে স্বরূপে, চিনেছে, জেনেছে, ঐ
নদীতে ডুব সাঁতারের স্বপ্ন বুনেছে, নদীর জলজ জীবনের
অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হতে চেয়েছে, তোমার ভালো মন্দের,
সুখ দুঃখের, হাঁসিকান্নার,আনন্দ বেদনার সাথী হবার কথা
ভেবেছে,তোমার নদীও আমার এ জলজ পুরুষকে দেখেছে
তার নিজস্ব পুরুষ সত্ত্বায়,চিনেছে,জেনেছে,কাছে ডেকেছে ।


সুকন্যা, এ জানাশোনা, এ ভাব বিনিময়য়, এ ভালোলাগা,
এ সবটুকুই ঘটেছে আমাদের মনের অচেতনে,অবচেতনে,
মনের গহীনে, বাইরের পৃথিবীর কাছে, সমাজের মানুষের
কাছে এ ভাব ভালোবাসা বিনিময় হয়তো সম্পূর্ণ অর্থহীন,
এর যে লিখিত পড়িত, কোন আইনগত ভিত্তি নেই,কোন
নিবন্ধিত সরকারী সীলমোহর খচিত কোন বৈধ কাবিননামা
নেই, কিন্তু এ নির্বাক ভাব বিনিময় তোমাকে আমার কাছে,
আমাকে তোমার কাছে আর দশটি মানুষ থেকে ভিন্ন একটি
সত্ত্বা দিয়েছে। বৈধ ভিত্তি নেই কিন্তু এ সত্ত্বা যে মিথ্যেও নয় ।


বিদ্রঃ তিন পর্বে সমাপ্য, আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হল, বাকি পর্বটি সামনে আসবে । সামনে আসছে ভিন্ন স্বাদের একটি ধারাবাহিক কবিতা “ইচ্ছে বিলাস” । পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল । আশা করি ভালো লাগবে ।