গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সাধারন দৃশ্য,
আমরা অনেকেই দেখেছি, কিন্তু কখনো মনে
রাখিনি, কখনো মনে দাগ কাটেনি সে দৃশ্য,
ফসলের সবুজ মাঠে দাড়িয়ে আছে গ্রামের
এক অজ চাষা, খাদ্যের কারিগর, ফসলের
পরিশ্রমী শিল্পী, খুব সাধারন, বকলম, অপুষ্টি
আর দৈন্যের সাক্ষ্য হয়ে বেরিয়ে আছে তার
কণ্ঠার হাড় , জীর্ণশীর্ণ চেহারা, ধুলি মলিন
পোশাক, আপাদমস্তকে তার দারিদ্র্য আর
বঞ্চনার ছাপ সুস্পষ্ট শুধু তার চোখ দুটো
জ্বলজ্বল করে জ্বলছে,ফসলের সোনালী স্বপ্নে,  
তার সামনে আদিগন্ত সবুজ ফসলের মাঠ,
চাষার স্বপ্ন এই সবুজ একদিন সোনালী হবে,
সোনালী ধানে ভরে উঠবে তার গোলা ঘর,
এই দুঃখ কষ্ট, এই হতাশা আর থাকবে না,    
বাপ চাষা ছিল, দাদাও চাষা ছিল, তার বাপও
চাষা ছিল, একবার তার শরীর ভীষণ খারাপ
ছিল, ঘরে খাবার ছিলনা, ওষুধ কেনার টাকা
ছিলনা, ধান বিক্রির টাকা আনতে ছেলেকে
পাঠিয়েছিল মহাজনের আড়তে,বদরাগী পাজী
মহাজন টাকা তো দেয়নি উল্টে তার ছোট্ট
ছেলেকে গালি দিয়েছে “চাষার বাচ্চা” বলে ।


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল পাঁচ পর্ব বিশিষ্ট লেখা “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার প্রথম পর্ব । ইচ্ছে বিলাস ও এই সিরিজ পাশাপাশি চলবে।
উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের ।      


রচনাকালঃ ০৫-১০-১৩