তাই শত কষ্টের ভেতরও অনেক স্বপ্ন নিয়ে
ছেলেটিরে সে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল গ্রামের
নতুন ফ্রীর প্রাইমারী স্কুলে, ফ্রীর সরকারী
স্কুল, বেতন লাগে না, বই কিনতে হয় না,
ঠিক মত না খেয়ে, না পরেও সে যুগিয়ে
গেছে ছেলের স্কুলের খাতা কলমের টাকা,
স্কুলের নতুন জামা কেনার টাকা, আরও
কতসব টুকটাক খরচ। বারবার ভেবেছে,
ছেলে তার মানুষ হবে, মানুষের মত মানুষ
হবে, ছেলে বড় হবে, জজ ব্যরিস্টার হবে।
একদিন আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকবে না,
ছেলেরে সে বিয়ে দিবে মহাজনের ছোট
মেয়ের সাথে, মেয়েটা বাপের মত বদ না,
তার মা অনেক ভাল ছিল, অনেক সুন্দর
ছিল, দ্বিতীয়বার বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে
সে মরে গেছে, এই মেয়েটা তার মায়ের
মত হয়েছে, ভালো স্বভাব,সুন্দর চাঁদপনা
মুখ,বছর না ঘুরতেই মহাজন আবার বিয়ে
করেছে,সে নতুন বউ হাভাতে ঘরের মেয়ে,
চেহারা ভালো, কিন্তু তার মনটা ভালো না,
ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটারে খালি কষ্ট দেয় ।
এই মেয়ের মরা মা চাষারে অনেক ভালো
জানতো,এই মেয়ের কষ্টে তার বুক পোড়ে।
নিজেরই হাজারটা কষ্ট তবুও এই মা মরা
ফুটফুটে মেয়ের কষ্টে তার চোখে জল ঝরে ।      


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল পাঁচ পর্ব বিশিষ্ট লেখা “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার তৃতীয় পর্ব। ইচ্ছে বিলাস ও এই সিরিজ পাশাপাশি চলবে। উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের ।      


রচনাকালঃ ০৫-১০-১৩  


দৃষ্টি আকর্ষণঃ শীঘ্রই আসছে " ফেসবুক, আমি এবং একজন প্রিন্সেস আদিয়াত" এর দশম পর্ব, সবাইকে পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ রইলো ।