আমার কখনো কখনো ইচ্ছে পায় হতে হঠাৎ দেখা নাম
না জানা অনামিকা অষ্টাদশী সুন্দরী বালিকার ডাগর নীল
চোখের নীল নীলিমা ছুঁয়ে বহমান অবারিত নিঃসীম নীল
আকাশের সুখ সপ্নসঙ্গী চির ভাসমান শ্বেতশুভ্র মেঘদল ।      
ইচ্ছে পায় হতে সে চিরন্তন সুগন্ধি কোমল বালিকার স্বপ্ন
সারথী অনন্ত মেঘদলের ভাসমান সুখের গোপন অসুখ,  
সে বালিকার চোখের নীলে খুঁজে নিতে ইচ্ছে পায় আমার
একান্ত নির্নিমেষ নীল আকাশ,সে বালিকার নীল যৌবনে
ইচ্ছে পায় হতে প্রথম অবাধ অবগাহনের নিষিদ্ধ উন্মাদনা ।


সে বালিকার সুখ ভাবনায় হতে ইচ্ছে পায় অখণ্ড আকাশ ।  
যে আকাশ কখনো কিছুতেই মলিন হয়না, পুরনো হয় না,
যে আকাশ কখনো ভেঙে পড়েনা, কখনোই হেরে যায় না,
যে আকাশের বিশালতার নিচে বাকি সব ক্ষুদ্র হয়ে যায়,
যে আকাশের সীমাহীন ঔদার্য্য উদাহরণ হয়ে রয়ে যায়,    
আমার ইচ্ছে পায় হতে সে বিপুল স্পর্ধিত নীল আকাশ।
প্রিয়জন দুঃখ দিলে মানুষই কষ্ট পায়, মানুষ ভঙ্গুর তাই
সহজেই মানুষ ভেঙে যায়, আকাশ বরাবরই নিঃস্পৃহ,
মানুষ হেরে যায়, মানুষ ক্ষুদ্র, দুর্বল, আকাশ কভু নয়,  
কোন মানবিক কষ্ট, কোন ব্যর্থতা তাকে কভু না ছোঁয়।


আমার কখনো কখনো ইচ্ছে পায় হতে সে চির অচেনা
অষ্টাদশী সুন্দরীর নীল শাড়ীর মসৃণ জমিনে অতন্দ্র শুয়ে
থাকা নীল জামদানি সাগর, যে জামদানীর নীলাভ শরীর
ঢেকে রাখে পুরুষের সবচেয়ে কাঙ্খিত দৃশ্যমান কোমল
সুখ, যে সাগরের নীলজল ঢেকে রাখে পৃথিবীর তিনভাগ
রহস্য গোপন, পৃথিবীর সব গোপনতা ছুঁয়ে দিয়ে আমার
কখনো কখনো খুব ইচ্ছে পায় হতে সে গহন গহীন নীল ।


রচনাকালঃ ১০-১০-১৩



বিদ্রঃ এটি একটি চলমান কবিতা, আজ চতুর্থ পর্ব প্রকাশিত হল, সামনে আরও আসতে থাকবে। প্রথমে ভেবেছিলাম তিন পর্বে শেষ করবো, কিন্তু তিন পর্ব লেখা শেষে দেখলাম অনেক ইচ্ছে বাদ পরে গেছে তাই আপাতত এটি চলমান হিসেবেই থাকলো । পর্ব সংখ্যা নির্ভর করবে ইচ্ছের উপর । প্রতিনিয়ত কত নতুন নতুন ইচ্ছে মনে আসে । স্থান কাল ও পাত্রভেদে বদলে যায় ইচ্ছের বৈচিত্র্য ।