গ্রামের পাশ দিয়ে কুলকুল করে বয়ে চলা
নদী, নদীর গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা মেঠো পথ,  
গ্রাম্য ছেলের দলে মিশে নদীর কাঁদা জলে
অবাধ ডুব সাঁতারের সুখ,নদীতে ঝাঁপি দিয়ে
মাছ ধরা, মুখ ভরা ফসলের ক্ষেতে নাড়ার
আগুনে পোড়া মটরশুঁটির পরিচিত প্রিয় স্বাদ ।


এই তার ছোট চেতনায় আঁকা জীবন ছবি,
এই তার সুখ, এই দুঃখ, এই টুকুই সম্বল ।  
বাবা মা, গ্রামের ঘর, উঠোন বাড়ী, সবুজ
ধান খেত এই তার পরিচিত আপন ভুবন ।


সেই কচি ছেলেটিরে গঞ্জের উচু হাই স্কুলে
পাঠাতে খুশীতে চাষার বুকটা যেমন ফুলে
ফেঁপে উঠছে তেমনি সাথে সাথে কতশত
কুচিন্তাও বারবার উকি ঝুঁকি মারছে প্রাচীন
অভিজ্ঞ চাষার চিরন্তন পিতৃহৃদয়ে, যদি চির
আপনভোলা অবুঝ ছেলেটি তার গঞ্জে গিয়ে
ঘরে ফিরে আসার পথটি ভুলে যায়,যদি আর
ঘরে ফিরতে না পারে তার সবেধন নীলমণি
আদরের একমাত্র ছেলে। কি হবে তখন ?


রচনাকালঃ ০৭-১০-১৩  


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার ষষ্ঠ পর্ব । প্রথমে ইচ্ছে ছিল এই লেখাটি পাঁচ পর্বে শেষ করার কিন্তু ঘটনার আবহ ও পরিপূর্ণতার স্বার্থে সেটা সম্ভব হল না এজন্য সবার কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের । ইচ্ছে বিলাসে সাময়িক বিরতি, সে স্থানে আসবে তিন পর্বের নতুন কবিতা স্ক্যালপেল । পড়ার আমন্ত্রণ রইল ।