যদি দূর গঞ্জের দুষ্ট ছেলে ধরার খপ্পরে পরে
যায় তার ছেলে।কি সান্ত্বনা সে দেবে নিজেরে,
কি জবাব দেবে সে ছেলের অভিমানী মায়েরে,
এই ছেলেরে ঘিরে সাজানো যে মায়ের নিজের
পুরোটা একান্ত জগত, শত দুঃখের ভেতর যে
মমতাময়ী মা ছেলেরে বুকের ভেতর আগলে
রেখেছে সাত রাজার যক্ষের ধনের মত,আগলে
রেখেছে বিষাক্ত সাপের মাথার নাগ মণির মত,
ছেলের ভবিষ্যতের কথা বলে ছেলের মাকেও
হয়ত রাজী করানো যাবে কিন্তু নাড়ীছেড়া ধন,
চোখের মনি ছেলের যদি কোন ক্ষতি হয় কি
করে দেবে চাষা তার মায়েরে সে ক্ষতিপূরণ ?          


ঐ বিশাল গঞ্জের কোথায় খুঁজবে তার পরম
আদরের হারানো একরত্তি বুকের মানিকরে ?
খরচের সাথে সাথে এমনি কত শত বুকহীম
করা দুশ্চিন্তা এসে ভিড় করে চাষার স্নেহময়
পিতৃহৃদয়ে সে কেবল একজন বাবাই বোঝে ।  


তবুও গরিব চাষা আবার আশায় বেধেছে তার
বহু ঝড়ে বহুবার বহুভাবে ভেঙে যাওয়া জীর্ণ
অপুষ্ট বুক, বিস্তীর্ণ সবুজ ধানের কচি কচি
ডগায় লকলক করে ঝুলছে তার স্বপ্নের প্রদীপ ।


রচনাকালঃ ০৭-১০-১৩  


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার সপ্তম পর্ব । প্রথমে ইচ্ছে ছিল এই লেখাটি পাঁচ পর্বে শেষ করার কিন্তু ঘটনার আবহ ও পরিপূর্ণতার স্বার্থে সেটা সম্ভব হল না এজন্য সবার কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের ।