হয়তো চাষার, চাষাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়,
হয়তো চাষা, চাষারা কখনোই মানুষও হবেনা,
হয়তো চাষা, চাষারা কখনোই মানুষ হয় না,
হয়তো মানুষ হওয়া ওদের ভাগ্যেই লেখা নেই।
হয়তো চাষারা চাষা হয়ে জন্মায় একদিন চাষা
হয়েই মরে যাবে বলে, হয়তো ঝরে যাবে বলে ।
হয়তো মানুষ হবার স্বপ্ন চাষাদের জন্যই নয়,
হয়তো এ রঙিন স্বপ্ন দেখা এক গরিব চাষার,
চাষাদের জন্য এক ক্ষমাহীন দুরারোগ্য পাপ,
হয়তো চাষার ছেলেও কোনদিন মানুষ হবে না,
হয়তো চাষার বাপের মত, মৃত চাষা দাদার মত,
তার মৃত বাবার মত চাষার ছেলেও চাষাই হবে ।


সহসাই এই চাষা আমার ভাবনায় বিমূর্ত হয়ে
উঠে খেটে খাওয়া সংগ্রামী মানুষের এক চিরন্তন
প্রতীক রূপে, এ যেন শুধু চাষা নয়, গোটা বাংলাসহ
সমগ্র শ্রেণী বিভাজিত পৃথিবীর তাবৎ খেটে  খাওয়া
শ্রমজীবী মানুষের, খেটে খাওয়া সমাজদেহের এক
দুরারোগ্য প্রতিনিধি, কায়িক দুঃখের জীবন্ত রূপ,
চাষা, মজুর, রিক্সাওয়ালা, পোশাক শ্রমিক এদের
সবার, এই শ্রেণীর সবার কাহিনী তো মোটামুটি
একই, সেই একই চিরন্তন বঞ্চনার, সেই একই
বৈষম্য কেন্দ্রিক শ্রেণী শোষণের পুরনো গল্প, শুধু
সামান্য  পরিবর্তন পটভূমিতে, বাদবাকি সব এক ।      


রচনাকালঃ ০৭-১০-১৩  


বিদ্রঃ আজ প্রকাশিত হল “স্বপ্ন চাষাদের জন্য নয়” কবিতার দশম ও শেষ পর্ব। উৎসর্গ গ্রাম বাংলার সব খেটে খাওয়া ফসলের কারিগর চাষি ও আপামর মেহনতি মানুষদের ।