কিশোরী, তরুণী বা যুবতী তুমি তোমার নিজস্বতায়
মানিয়ে গিয়েছিলে আমার স্বপ্নের বর্ণীল ক্যানভাসে ।
কিন্তু নারী শব্দটা এসে তোমাকে আমার নিজস্ব ভুবন
থেকে একেবারে অচেনা বহুদুরের মানুষ করে দিল,
গণ্ডীর বাইরের মানুষ, পর করে দিল এক লহমায় ।


যে কিশোরী, যে তরুণী বা যে যুবতীকে আমি তার
নিজস্বতায় চিনতাম, কিছু না বলেও চোখের ভাষায়
যাকে সব বলা যেত, যে রাজকন্যাকে আমি আমার
বলে নিজস্ব রাজকীয় সম্পত্তিই বলে জানতাম এই
অচেনা নারীর রহস্যঘেরা অচেনা ঘোমটার আড়ালে সে
চিরচেনা হরিণ চঞ্ছল সবুজ কিশোরীকে, ভালোলাগা
মেয়েগন্ধী নিজস্ব তরুণীকে বা ভালোবাসার স্বপ্নময়
যুবতীকে আমি আর কিছুতেই খুঁজে পেলাম না ।


এই বদলে যাওয়া অচেনা নারীকে কোন ভাবেই আমি
আর আমার পুরনো জীবনের পরিচিত সুরে মেলাতে
পারলাম না । তার হাসিতে চেনা পুরনো সেই প্রশ্রয়,
তার চোখের তাঁরায় আর কোন স্বপ্ন খুজে পেলাম না ।


একদিন তার মন কেমন করা হাসির জলতরঙ্গে,
তার চোখের ঐ মেঘবিদ্যুতে শুধু আমারই ছিল
একক অধিকার । আজ বড়ো সন্দেহ হয় সত্যিই
কি আমি কিছু হারিয়েছি ? সত্যিই কি আমি কিছু
পেয়েছিলাম ? সত্যিই কি আমার ছিল সে ? আজ
বড় সন্দেহ হয়, আমার আমিত্বে বড় সন্দেহ হয় ।


রচনাকালঃ ২১ -০৪ – ২০১৩


বিদ্রঃ দুই পর্বে সমাপ্য, আজ দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব প্রকাশিত হল । সামনে আসছে কবিতা আসর ও কবি বন্ধুদের নিয়ে লেখা দুই পর্বের কবিতা “কবিতা আসর” । বাংলা কবিতা আসর ও আসরের বন্ধুদের নিয়ে একটি কবিতা লেখার ইচ্ছে আগেই ছিল। ভেবেছিলাম এটি হবে আমার ১০১ তম কবিতা, কিন্তু ব্যস্ততা ও সময়ের অভাবে সে আর হয়ে ওঠেনি, আজ অনেকটা জোর করেই সময় বের করে সেটা লিখে ফেললাম। এটি আমার ছান্দিক কবিতা লেখারও একটি অনন্য প্রয়াস। সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল।