মেদহীন সভ্যতার নির্ঘুম পতাকাহাতে মানুষের স্বীকৃত
সামাজিক সম্পর্কের শ্বাপদ ছায়ার আড়ালে অহর্নিশ
জ্বলতে থাকে নষ্ট বিবেকের বিষাক্ত নীল হন্তারক আগুন,
বিবেকহীন উন্নতির রাতের শয্যাসঙ্গী অমেঘ হৃদয়হীনতার
অন্ধকার আস্তিনে লুকানো ক্যমেরার ট্রিগারময় গোপন
আমিষ প্রলোভন অকাতর নখরবন্দী করে ব্যক্তিগত
সুখের নধর কোমল আয়ু, নিবিড় প্রকৃতির অনাবিল
সবুজ শরীর, মায়ের শাশ্বত আচলে শিশুর সোনালী
শৈশব, ফসলের আদিগন্ত সবুজ মাঠে কৃষকের আকর্ণ
হাঁসি সব মানবিক দৃশ্যপট মুছে ফেলে সুতীব্র জৈবিক
চাহিদার তালিকায় অনায়াস জয়ী হয় নিষিদ্ধ আঁধার ।  


আত্মার আঁধারে নিমজ্জিত এ কোন গোপন পাপ নয়,
পাপারাজ্জি, যা পেয়েছে আজ নিপুন শিল্পের সন্মান,    
পাপারাজ্জি, মানব মনের গহন গহীনে বাসা বাঁধা
আদিম নোংরা নষ্টামির আধুনিক বিবর্তন, ক্ষুধিত
হায়েনার পাপগন্ধী চোখ কেবলই খুঁজে খুঁজে ফেরে
গ্রহণ কালের অনন্ত আঁধার, সে চোখে ধরা পরেনা
মায়াময় নীলজোস্ন্যার অলৌকিক বিভ্রম, ধরা পরে না
সবুজ প্রকৃতির অবাধ বুকজুড়ে সাবলীল উচ্ছ্বাস,
ধরা পরে না মানবিক মায়ার হৃদয়স্পর্শী অবেদন ।
এই ভ্রষ্ট পাপারাজ্জি কেবল শ্বাপদ দু চোখে গিলে
খেতে চায় প্রকৃতি ও মানুষের যত নিগুঢ় গোপন ।    


বিদ্রঃ দুই পর্বে সমাপ্য । আজ দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব প্রকাশিত হল ।