জলের বুকে ছন্দ তুলে পালতোলা নৌকা ভাসে,
সে সুখে আমার মনে কবিতারা ঝামরে আসে ।
নৌকার মাঝি অবিরাম নৌকা বায় উদাস মন,
তার লাগি আমার কবিতারা সব আজ দুঃখঘন ।
হাল ধরে দরাজ গলায় মাঝি গায় ভাটিয়ালী,
গানের সুরে আমার কবিতারা সব বেখেয়ালী ।
দাড় বেয়ে যায় মাঝি, নদীর নাম যে ময়ূরাক্ষী,
আমার কবিতারা সব মাঝির দাড়ের রাজসাক্ষী ।
বৈঠায় জল ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে যে বহুদূর,
ছলাৎ ছলাৎ জলের শব্দে কবিতারা হারায় সুর ।
রোদে পোড়া মাঝির দেহ,মাথায় ঝাঁকড়া চুল,
কবিতায় আজ তাই কেদে ফেরে অতীত ভুল ।
নদীর মাঝি,কষ্টে ভরা জীবন তার অবহেলিত,
তার কষ্টে কবিতারাও আমার আজ নির্বাসিত ।
মাঝির স্বপ্ন জলে ভেজা, দুচোখ তার উপোষী,
চোখের জলে আমার কবিতারা আজ বানভাসী ।


বিদ্রঃ আমি ছান্দিক কবিতা বিশেষ পছন্দ করি না, বন্ধুবর অজিতেশের অনুরোধ ছিল একটি জল পরে পাতা নড়ে টাইপ ছান্দিক কবিতা লেখার, আমি নিজেও বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করি, সব রঙে নিজেকে রাঙিয়ে দেখতে চাই, বন্ধুত্বের সেই দাবী মেটাতে এবং বৈচিত্র্যের নেশায় এই কবিতা লেখার প্রয়াস । এ লেখাটির অনুপ্রেরনা মুলত অজিতেশ। আজ কবিতা আসরে অজিতেশের ১৫০ তম সৃষ্টি পেলাম । এই স্মরণীয়  মুহূর্তে আজকের কবিতাটি উৎসর্গ করলাম বন্ধু অজিতেশ নাগ সহ আসরের সব কবিদের । কবিতাটি কেমন লাগলো জানালে ভালো লাগবে ।