উন্মনা নীল আকাশের মেঘলা উদাস জমিন অকাতরে ছুঁয়ে
দিয়ে খেয়ালী সুখে বয়ে যাওয়া মৃদুমন্দ মাতাল সমীরণের
উপবাসী চক্র সুখের অন্তমিলে, সোঁদা গন্ধময় পৃথিবী নামের
মৃত্তিকা মেয়ের খোলা এলো আনমনা চুলের উদ্ভিন্ন বাতায়নে,  
অবিচল দুর্গম পাহাড়ের সুডৌল পাথুরে কঠিন বুক চিরে নিজস্ব
ঝঙ্কারে উছলে পড়া চঞ্চলা ঝর্নার উদ্দাম গতির টানে, চপলা
নদী থেকে আদিম সাগরের পানে, আপন দেশ থেকে দূর বিদেশ
বিভূঁইয়ে, নিজ পাড়া থেকে পড়শী মহল্লায়, কাছের অলি থেকে
সুদুরের গলিতে, রাত্রির নির্ঘুম থেকে সুখ স্বপের অন্তজালে,
সুখের দিবানিদ্রা থেকে জাগরনের স্বপ্নভঙ্গের অন্তরালে, পদাতিক
যাত্রার শুরু থেকে অজানা পরিণতির শেষে আমার অতৃপ্ত দুচোখ
কেবলই খুঁজে চলেছে যা কিছু চির সুন্দর, যা কিছু পলাশ রাঙা,
খুঁজে চলেছে কিছু নরম নধর সুখ, খুঁজে চলেছে কিছু জীবন্ত
মুখ, খুঁজে চলেছে কবিতার মত অনন্ত যৌবনা উর্বশী মেয়ে, এমন
নরম মেয়ে যার সুখ দর্শনে চৈত্রের উসর নদীর মত ভালবাসা
হীনতার কঠোর খরায় শুকিয়ে যাওয়া হলুদ হৃদয়ের গহীন বৃত্তে
ভালোলাগা সপ্নীল কবিতার অবিরত আনাগোনা শুরু হয়, এমন
স্বপ্নময় মেয়ে যে নিজেই সুললিত কবিতার মত, ছন্দময় অন্তমিল
কবিতার মত নরম যার প্রেমময় মন, কবিতার মত মৃগনাভি
সুগন্ধি যার পেলব শরীর, বিরহের মত কাম্য যার অধরা অবয়ব,
যার দর্শনে কবিতা লিখতে ইচ্ছে হয়, কবি হয়ে উঠতে ইচ্ছে
হয় । এ এমনই মোহময় মেয়ে যার দর্শনে অনন্ত প্রেমিক হয়ে
উঠে দুরন্ত মন, এ এমনই মেয়ে যার গহীন চোখে আছে প্রিয়
কবিতার ক্যানভাস, যে মেয়ের হৃদয়ের আহ্বানে কবিতারা
আসে ভাবনার উসর জমিনে । এ এমনই মনোময় মেয়ে যার
তির্যক হাসি হয়ে উঠবে আমার প্রেমের কবিতার অনন্ত মুখ ।