প্রিয়তা, কতদিন দেখিনি তোমার সেই চেনা মুখ ।
কাছাকাছি আসা হয়নি তোমার সেও বহুদিন হয়,
তোমার অনুভবের শরীর স্পর্শ করা হয়নি বহুদিন ।
কত ক্ষমাহীন একাকী সময় কেটে গেছে নিষ্ঠুরতার
নির্বিকার নিমগ্ন ঘড়ির সূচালো কাঁটার আহ্নিক দহনে ।
আজ বহুদিন পর খুব কাছাকাছি এসেও তোমাকে
দুচোখ ভরে হৃদয় দিয়ে আর দেখা হলনা আমার ।
আমার খুব কাছাকাছি এসেও তুমি আর সেই তুমি
হয়ে উঠলে না, উঠতে পারলে না, আজকের এই
তুমিকে আমি আর কিছুতেই চিনতে পারলাম না ,


এই অগণিত চেনা অচেনা মানুষের ভিড়ে কোথাও
আমি সেই প্রিয়তাকে আর কোথাও খুজে পেলাম না,
সেই তুমি যে আজ থেকেও রইলে না কোথাও আর ।


প্রিয়তা, কোন দিন হয়তো আমাকে আমার  মতো করে
ভালবেসে দেখনি তুমি । তোমার  রঙ্গিন কাঁচের চোখে হয়তো
দেখার কোন চোখ ছিল না, ভালোবাসা মানে ছিল এক বল্গাহীন
উদ্দ্যাম খেলা, লেনদেনের, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির, জয় পরাজয়ের ।
ভালোবাসা মানে ছিল উদ্ধত পুরুষকুলের রুপ মুগ্ধ চোখ,
তোমাকে ঘিরে তাদের জৈবিক কামনার দৈনন্দিন আবর্তন,
তুমি কটাক্ষ হানতে হৃদয়হীন বিজয়িনীর অবোধ জয়োল্লাস,
তোমার জয় পরাজয়ের ধারনা ভিন্ন মাত্রিক, পরাজিত হৃদয়ের
দহন তুমি কোন দিন বুঝবে না, কোনদিন জানা হবে না সে
দুঃসহ গ্রহণ । এই পরাজিত আমার কথা তাই হয়তো কখনো
মনেও পরবে না তোমার আর, তুমি তো “বীরভোগ্যা” হোক সে
যে কোন কেউ, হোক ভালোবাসাহীন কালপুরুষ, পরাজিতের
সস্তা কষ্টের সাথে তোমার কোন লেনদেন থাকতে নেই ।


প্রিয়তা, তুমি তাই একথাও হয়তো জানবে না, জানতে চাইবে না,
জানার প্রয়োজনবোধ করবে না কোনদিন, এ তোমার বিজয়
নয়, এ কেবলই আমার নিজস্ব পরাজয় আমার নিজের কাছেই ।


বিদ্রঃ এই প্রিয়তা আসলে একক কোন মুখ নয়, এই সিরিজের কবিতাগুলো একটির সাথে আরেকটি মিলবে না । পর্ব সংখ্যাও অনির্ধারিত ।