একদিন আমি নিঃশর্ত ভালবেসেছিলাম শুধুই তোমাকে,  
আমার সমস্ত মুগ্ধতার শুরু আর শেষে ছিলে কেবলই তুমি,
তোমাকে ঘিরেই ছিল আমার ভালোলাগার সব আবর্তন,
তোমার হিসেবী চোখে হয়তো খুব সাধারন ছিলাম আমি
জাগতিক মিল অমিলে তোমার পাশে বড় বেমানান,
তাই তুমি আমাকে তোমার খেলার সাথী করলে না,
আমাকে তুমি দিলে না তোমার নিজস্ব ক্যানভাসে
জলরঙে প্রিয় ভালোবাসার ছবি আঁকার অধিকার,
তোমার বরাবর মুগ্ধতা ছিল আকাশের বিশালতায়
তাই সবসমায় চাইতে উড়াল ডানায় আকাশ ছুতে,
তোমার ইচ্ছের বদান্যতায় মাটির কোমল আশ্রয় হয়ে
তাই বারবার শুধু তোমার পদদলিত হতাম আমি,
যতবার তুমি আকাশের বিশালতায় উড়াল দিতে
চেয়েছ ততবার ডানা ভেঙ্গে ফিরেছ আমারই বুকে,
বিপদের অবিচল বন্ধু, দুর্দিনের একনিষ্ঠ সারথী বলে,
কোনদিনই তোমার কোন স্বীকৃতি মেলেনি আমার
শুধু তোমার ব্যর্থতার দায় নিতে হয়েছে নির্বিকার ।


তুমি আজ আবার ফিরে এসেছ আমার আশ্রয়ের দুয়ারে,
আজ তুমি খেলার সাথী বদলাতে  বদলাতে বড় ক্লান্ত,
জাগতিক হিসাব নিকাশের ফলাফলে তুমি আজ পরাজিত
তোমার শরীরে আজ বহু নখের আচরের কালশিটে দাগ,
তোমার চোখে অনেক না ঘুমানো রাতের  দুঃসহ ক্লান্তি
তোমার মনে অনেক না মেলা হিসাবের অসম সমীকরণ,
আমি মাটি তাই  তোমাকে আশ্রয় আমাকে দিতেই হবে,
কিন্তু আমার অনুভুতির প্রতি বরাবর বেখেয়ালী তুমি হয়তো  
জাননা সময়ের আবর্তনে আজ আমি কতোটা বদলে গেছি,
তুমি হয়তো জাননা আমি তোমার থেকে আজ ফিরিয়ে নিয়েছি
একদা তোমাকে দেয়া ভালোবাসার সেই নিঃশর্ত অধিকার,
আজ তুমি যে কোন নারী, যে কেউ তোমার, তুমি যে কারো ।