কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা বৈষয়িক প্রায় সব দিকেই খুব সচেতন। কোন কিছুতেই তারা কারো চেয়ে কম যান না। সমাজে ঘাগু লোক হিসেবে পরিচিত এরকম অনেকেরই ছাতা বিষয়ক একটি কমন সমস্যা আছে, একবার ছাতা হাতে ঘর থেকে বের হলে তারা হয়তো সব কাজ ঠিকঠাক মত সেরে ঘরে ফিরবেন কিন্তু ছাতাটি ঘরে ফিরবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমি নিজেও কিঞ্চিত এই গোত্রভুক্ত একজন মানুষ, আমার কবলে পড়ে অদ্যাবধি কত নামী বেনামী ছাতাকে যে জ্ঞাতে ও অজ্ঞাতসারে হাতে বেহাতে পড়ে অকাতরে সতীত্ব বিলিয়ে দিতে হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই । সেইসব কাহিনী লিখতে গেলে বিশাল কলেবরের একঘেয়ে ছাতা উপাখ্যান হয়ে যাবে। তাই সেদিকে না গিয়ে আজ ছাতা বিষয়ক একটি ভিন্নধর্মী কাহিনী বলব । তখন আমি সি এ আর্টিকেল স্টুডেন্ট । অডিটের কাজে সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে হয় । একবার গিয়েছিলাম এল জি ই ডি মিনিস্ট্রির পক্ষ থেকে এন জি ও কেয়ার বাংলাদেশকে দেয়া রুরাল মেইন্টেন্যন্স ফান্ড অডিটের কাজে । আমার দায়িত্ব পড়েছিল চট্টগ্রাম জোনে । তৎকালীন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি ব্যাংক সোনালী, রুপালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী এবং কৃষি ব্যাংক আকউন্ট থেকে এই লোনের টাকা দেয়া হয়েছিল, ওখানে আমাদের মুল কাজটি ছিল কেয়ার বাংলাদেশ থেকে দেয়া ফান্ডের হিসাব ব্যাংক হিসাবের সাথে রিকনসিলেশন করা ।


বিদ্রঃ কবিতা দিয়েই  মূলত আমার লেখালেখির শুরু হলেও এখন কবিতার গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্য ঘরানার কিছু লেখালেখি শুরু করেছি, বাংলা কবিতা যেহেতু কবিতার আসর তাই এখানে আমার প্রধান ভাবনা থাকবে কবিতাকে ঘিরেই তবে মাঝে মাঝে কবিতার বাইরেও কিছু লেখা দেব। এই ধারার প্রথম ধারাবাহিক লেখা হিসেবে আজ প্রকাশিত হল আমার নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা ছয় পর্বের ধারাবাহিক রসগল্প “সাপে বর – ছাতা কাহিনী” এর প্রথম পর্ব । আমন্ত্রণ রইল পড়ার ।  সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।