অডিটের কাজে বিভিন্ন ব্যাংকে ঘুরে কাজ করতে হত আর প্রতিদিন সন্ধায় ব্যাংক থেকে পাওয়া হিসাবের কপি ঢাকা অফিসে পাঠানো। তখন বর্ষাকাল সবে মাত্র শুরু হয়েছে, এই বিবেচনায় কাজের স্বার্থে সি এ ফার্ম থেকে আগেই রেইনকোর্ট কিনে দেয়া হয়েছে, প্রথমে আকাশের অবস্থা ভালোই ছিল কিন্তু কাজের মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে খুব জোর বর্ষণ শুরু হয়ে গেল । শুধু রেইনকোর্ট পড়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না তাই বৃষ্টির অসহযোগের তোড়ে শেষ পর্যন্ত একটি ছাতাই কিনে ফেলতে হল। এর আগেই বহু ছাতা হারানোর রেকর্ডে আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল অতীব সমৃদ্ধ । তাই প্রথম দিন বেশ ভয়ে ভয়ে ছাতা নিয়ে বের হলাম এবং অতি সাবধানতা বশত সারাদিন ছাতা আগলে আগলে রাখাতে সন্ধ্যায় কাজ শেষে আমি এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করে ছাতা সাথে নিয়ে সোনালী ব্যাংকের ফটিকছড়ি শাখা থেকে বের হলাম। এখন কাজ সারাদিনের সংগৃহীত রিপোর্টগুলো ঢাকায় কুরিয়ার করে পাঠানো । বাইরে যথারীতি অবিরাম বৃষ্টি ঝড়ছে, আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বৃষ্টি অব্যহত থাকলে সাধারনত ছাতা হারানোর ভয় কম থাকে কারন বৃষ্টির মধ্যে বের হতে গেলেই ছাতার কথা মনে পড়ে যায়। সমস্যা হয় যদি কখনো বৃষ্টির ভেতর কোথাও গিয়ে ফিরে আসার সময় বৃষ্টি থেমে যায়, তখন ছাতার কথা কিছুতেই আর মনে থাকে না।


বিদ্রঃ কবিতা দিয়েই  মূলত আমার লেখালেখির শুরু হলেও এখন কবিতার গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্য ঘরানার কিছু লেখালেখি শুরু করেছি, বাংলা কবিতা যেহেতু কবিতার আসর তাই এখানে আমার প্রধান ভাবনা থাকবে কবিতাকে ঘিরেই মাঝে মাঝে কবিতার বাইরেও কিছু লেখা দেব। এই ধারার প্রথম ধারাবাহিক লেখা হিসেবে আজ প্রকাশিত হল আমার নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা ছয় পর্বের ধারাবাহিক রসগল্প “সাপে বর – ছাতা কাহিনী” এর দ্বিতীয় পর্ব । আমন্ত্রণ রইল পড়ার ।  সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।