সুখের ক্ষয়িষ্ণু গ্রহন শেষে জীবনের বাতায়নে ফিরে
আসা ক্ষুধিত গাঙ হরিণ রাত্রির অনন্ত নির্ঘুম প্রহরের
দোলাচালে অবশিষ্ট হিসেবে থেকে যাওয়া তুমিহীন
বিরহী বিষাদ আমাকে ছোয় নিজস্ব লোমশ নিবিড়তায়,
আমার অবচেতন ভাবনায় তোমার স্বার্থপর চলে যাওয়া
কষ্টের অবিরত অনুরণন হয়ে হৃদয় ভাঙে দুঃসহ দহনে,
সে আমাকে  স্বপ্নের মোহানলে ছুড়ে দেয় অনন্ত বেদনা,
সে আমার ভালোবাসার পানপাত্রে ঢেলে দেয় কালবিষ,
ছিনাল নারীর উত্তাপে সে আমাকে স্পর্শ করে বারবার,
যেভাবে আমার পূর্বপুরুষরাও কখনো আমার একান্ত
চিন্তার রাজপথ ছুতে পারেনি তাদের বাঙময় শূন্যতায় ।