যে যাবার সব পিছুটানের বন্ধন অনায়াস
অবহেলে একদিন সে চিরতরে চলে যায়,
পেছনে ফেলে স্মৃতির সব বিষাদী ডালপালা,
নিকনো উঠোনবাড়ি, পরিপাটি সাজানো ঘরদুয়োর,
না ফেরা কষ্টের শীতল হাত ধরে সে চলে যায়,
ভালোলাগা গোধূলির রং মুছে দিয়ে সে চলে যায়,
সহজেই সবকিছু ভুলে সহজেই সে পর হয়ে যায়,
জন্মের মত পর হয়ে যায় সে, পর করে দেয় ।  


পাশাপাশি বসে থাকা অগণিত শুভ্র সকালের
সোঁদা সোঁদা সুখ, ভালোবাসাবাসির নিরিব মুগ্ধতা
শেষে শরীরের উত্তাপ ভাগাভাগি করে নেয়া বহু
উষ্ণ দুপুর,  কোন কথা না বলেও সব বলে দেবার
গভীরতা মাখা দীঘল বিকেল, বুকের কাছে কষ্ট
হয়ে জমে থাকা নির্ঘুম স্বপ্নবোনা দীর্ঘ রুপালী রাত,
অনায়াস পেছনে ফেলে সে সহজেই চলে যায়,
প্রত্রিশ্রুতির মিথ্যে সোনালী কাবিন সহজেই ছিড়ে
ফেলে বাসনার হাত ধরে চিরতরে সে চলে যায়  


কুসুমিত হৃদয়ের কোমল আঙিনা কঠিন দুপায়ে
মাড়িয়ে চিরতরে পর হয়ে সে জন্মের মত চলে যায়,
ফেরানো যাবে না জেনে আমিও তাকে যেতে দেই,
বাঁধনের কঠিন লৌহ শেকলে হয়ে তার চরণ ছুঁই না,
মুক্তি দেয়া পথের সমতল হয়ে যাই তার চরণতলে,
পৌঁছে দিতে তাকে অনুতাপহীন নতুন গন্তব্যের সুখে,
নির্বিকার জীবন নাটকের নতুন কোন আয়েশী মঞ্চে ,
যে চলে যায় সে চলেই যায়, ভুল তাকে পিছু ডাকা ।