হে আমার বাংলা মা, এ প্রশ্নের উত্তর জানেনা তোমার অপারগতা,
উত্তরহীন এসব প্রশ্ন কেবল প্রশ্ন হয়ে জমে জমে স্তূপ হয়ে রয়,
তবু তা ছুতে পারেনা কিছু আয়েশি সুখের সারশূন্য অট্টালিকা,  
তোমার সারা শরীরময় আজও ঝরে পড়া রক্তের কালশিটে দাগ,
সাতচল্লিশ, বায়ান্ন থেকে একাত্তর, একাত্তর থেকে অদ্যাবধি এই
জনপদে অনেক বার বয়ে গেছে প্রতিবাদের রক্ত বন্যা, তবু আজও
মেটেনি কিছু সুবিধাভোগী নোংরা শকুনের সর্বগ্রাসী মাংসাশী খিধে,
আজও তাই রিক্তের স্বাধীনতা বন্দি হয়ে আছে বইয়ের পাতায়,
এখানে বিবেকের বিষাক্ত আঁধারে লুট হয়ে যাওয়ার আশংকায়  
আজও দুরু দুরু বুকে কাপে সব হারিয়ে পাওয়া সার্বভৌমত্ব ।


বাঙ্গালী রক্ত দিতে জানে, জানে রক্ত নিতে, বাঙ্গালী ভালবেসে
হয়ে যেতে পারে নরম নদী, আবার সেই বাঙ্গালীই হতে জানে
ক্ষমাহীন অনন্ত অঙ্গার, নব্য শকুনেরা তোমাদের এই নোংরা
খেলা থামাও, রক্তে ভেজা এ প্রিয় পবিত্র ভুমি তোমাদের এই
নষ্ট প্রহসন আজ আর দেখতে চায় না, গন মানুষের ভাগ্য নিয়ে
এই ছিনিমিনি খেলার এবার ইতি টানো নির্লজ্জ লুটেরার দল,
বাঙালীর অসীম মমতা তুমি দেখেছ, মমতাকে দুর্বলতা ভেবে
ভুল করেছ, তার সর্বগ্রাসী উন্মত্ত ক্রোধ তুমি দেখতে চেয় না,
মানুষের অধিকারের উপর থেকে তোমাদের নোংরা হাত হটাও,
বাঙালীর রক্তে আজও ঘুমিয়ে আছে সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, একাত্তর,
তাকে ডেকো না তোমাদের সাজানো তাসের ঘর ভেঙে দিতে,
তাকে ডেকো না তোমাদের বাধভাঙা সর্বনাশের অনুষঙ্গ হতে,
হে স্বাধীনতা, এবার তুমি সব বৈষম্যের পাহাড় পায়ে দলে দলে
বইয়ের পাতা থেকে নেমে আসো বাস্তবের সবুজ ঘাস জমিতে,
বিত্তের খোঁয়াড় থেকে তুমি ভূমিষ্ঠ হও চিত্তের বিপুল আলোড়নে ।


বিদ্রঃ সবাইকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের অনাবিল শুভেচ্ছা । দুই পর্বে সমাপ্য, আজ দ্বিতীয় পর্ব  প্রকাশিত হল ।