চোখে চোখ রাখা আকর্ষক মুগ্ধতা ঘনীভূত হয়ে
হৃদয়ের বালুবেলা উপচে স্পর্শের মদির বাসনায়
ঠোঁটের উষ্ণতা হয়ে ঝুলে যায় উন্মত্ত ভালোবাসা,
গ্রীষ্মের দুপুরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে যায় বেড়ে ...
ভোজবাজির মত মুছে যায় চারপাশের প্রেক্ষাপট...
জনবহুল শূন্যতায় আদিমতম আমন্ত্রনে কামতপ্ত
পুরুষ এসে দাঁড়ায় নারী যোনীর গোপন দুয়ারে ...
নারী দুবাহু প্রসারিত করে বলল "আমাকে নাও"  
চূড়ান্ত পরিণতির ক্ষণ ঘনিয়ে আসার আগ মুহূর্তে
সহসা গর্জে উঠে বুড়ো সমাজের বজ্র নিনাদ.. পাপ...
এ পাপ... পাপ ... পাপ ... পাপ ...পাপ ... পাপ
থমকে যায় নারী, স্থবির হয়ে যায় স্খলিত প্রেমিক...  
জারি হয়ে যায় মানব জন্মের দায় শোধের হুকুমনামা
বন্ধ করতে হবে সব অসামাজিক অশ্লীল নোংরামি ...
নাজুক নারীর থেকে হটাও তোমার পৌরুষের লাম্পট্য    
সরাও কামুক হাত, ফিরিয়ে নাও চোখের নির্লজ্জ দৃষ্টি ...
এখনো সই সাক্ষর করা হয়নি সামাজিক কাবিন নামা ...
রাখা হয়নি সামাজিক স্বীকৃতির কোন সাক্ষী সাবুদ ...  
কোন নীতিগত বৈধতা নেই এ অসামাজিক স্খলনের
কোন ক্ষমা নেই এই অগ্রহনযোগ্য পাপাচারের ...
কিন্তু হৃদয় তো হৃদয় ছুঁয়েছে পারস্পরিক আকর্ষণে ...
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের পারস্পরিক মিলনের চেয়ে
একখন্ড নিষ্প্রাণ কাগজ কি করে কাগজ বড় হয়  ?
এই প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায় না ...  
পাপের পরিণতিতে যথারীতি ঘোষিত হয় মহাদন্ড
সামাজিক দলিল ছাড়া সমস্ত হৃদয়বৃত্তি মিথ্যে...
নর নারীর ভালোবাসা মানবিক বিকার মাত্র ...
সম্পর্কের ভিত্তিভূমি হয়ে আবার সদর্পে ফিরে আসে কাবিন নামা ...
অবশেষে নষ্ট জন্মের বংশগত দায় নিয়তি বলে
মাথা পেতে নিয়ে রাতের হৃদয়হীন আঁধারে বাসরের
নরম শয্যার বৈধতায় জন্মের মত ধর্ষিত হয়ে যায় ভালোবাসা ।  
    
বিদ্রঃ আগামী কাল কবিতা আসরে আসতে যাচ্ছে আমার ২৫০ তম নিবেদন “স্বপ্ন ও জীবন” । সবাইকে অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল আমার সৃজন পথের সাথী হতে । আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।